সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
০৩:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
০৩:১৫ অপরাহ্ন
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার তেল, ডাল ও গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এরমধ্যে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে। আর ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মসুর ডাল এবং ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার গম কেনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির সভায় এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান এম এস এগ্রো কট ইন্টারন্যাশনাল থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি টন গমের মূল্য পড়বে ৩০৩ দশমিক ১৬ ডলার। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ৩১৫ দশমিক ২৯ ডলার।
এদিকে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা।
আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়ছে হবে ১৫৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১৬৫ টাকা ২৫ পয়সা।
৪৩৯ কোটি টাকার সার কেনা হচ্ছে
বৈঠকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার ইউরিয়া, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার।
এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৭১ দশমিক ৩৭ ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬ দশমিক ৬২৫ মার্কিন ডলার। এছাড়াও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৫৭২ ডলার। যা আগে ছিল ৫৮২ ডলার। এ ফসফরিক এসিড সরবরাহ করবে চায়নার জুনজুয়াই ইকো টেকনোলজি কোম্পানি। এদের ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন।
এএফ/০৫