সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ০৫, ২০২০
০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ০৫, ২০২০
০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউন চললেও ঈদের আগে যেন সবাই কেনাকাটা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাই কেনাকাটা করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আজ সোমবার (৪ মে) সকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিওকনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোজার মাস উপলক্ষে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধীরেধীরে কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে সবাইকে নিজেকে ও অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘রোজার মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে, তার জন্য দোকানপাট খোলা, বাজার–হাট চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলা ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প চালানো যাবে। অর্থনীতির চাকা যাতে গতিশীল থাকে, সেখানে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে, সেগুলো যেন পরিচালিত হতে পারে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। সরকারি অফিস–আদালত সব সীমিত করে চালু করে দিচ্ছি। সামনে ঈদ, তাঁর আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার, সেগুলোও যেন মানুষ করতে পারে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, সেখানে জনসমাগম থেকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।'
বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে এবং সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষমারা গেছেন। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও আছেন। তিনি সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সরকার প্রধান বলেন, অফিস-আদালত সীমিত আকারে চালু করে দিচ্ছি, যেন মানুষের কোনো কষ্ট না হয়। তিনি বলেন, যারা ধনী দেশ, অগাধ সম্পদ তারা ও করোনাভাইরাসের কাছে ব্যর্থ। একটা শক্তিশালী ভাইরাসের কাছে কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধন-সম্পদ অর্থ কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধনী-গরিব সবাই একাকার হয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এএন/বিএ-০২