ভারী ‍বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ৩১, ২০২৫
০৯:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ৩১, ২০২৫
০৯:০৬ অপরাহ্ন



ভারী ‍বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন


সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাতে সিলেট নগর এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। সারাদিন অবিরাম বৃষ্টিপাতে যানবাহনের অপ্রতুলতায় বিপাকে পড়েন মানুষ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে আগেরদিন শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১২৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি। এর আগে শনিবার ভোর ছয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ১২৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

ভারী বৃষ্টিপাতে সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকা ডুবেছে। শনিবার দুপুর দুইটার দিকে নগরের হাওয়াপাড়া, চৌহাট্টা, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, নাইওরপুল,  সোবহানীঘাট, যতরপুর, মধু শহীদ, বাগবাড়ি, খাসদবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা ডুবে গেছে। ড্রেন ভারাট হয়ে মানুষের বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের ময়লা পানি উপচে ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

জলাবদ্ধতা মোবাবেলায় সিলেট সিটি করপোরেশন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। সেখান থেকে পুরো নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সচিবগণ নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন এবং তাৎক্ষণিক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতে নদনদীর পানি বেড়েছে। তবে কোথাও এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।’ বন্যার শঙ্কা আছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলে বন্যা বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া ভারতের আসামের দিকে বৃষ্টিপাত কমছে। যদি কালকে কমে যায় তাহলে আমাদের এখানে নদীর পানি দ্রুত কমে যাবে।’


এএফ/০৫