সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ৩১, ২০২৫
০৯:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০১, ২০২৫
০৩:১১ অপরাহ্ন
জীবকার প্রয়োজনে বৈরি আবহাওয়ায়ও ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। পেশায় নৌকার মাঝি তাজুল ইসলাম (৩৬) বজ্রপাতে নদীতে পড়ে প্রাণ হারালেন।
আজ শনিবার (৩১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে চাপনগর গ্রামের সুরমা নদীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
তাজুল উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপ্রসাদ নয়াগ্রাম গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের পুত্র।
জানা যায়, তাজুল কানাইঘাট সুরমা নদীর খেয়াঘাট থেকে নিজের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী নিয়ে লোভাছড়া বাগান-বাগিচা ঘাটে যাচ্ছিলেন। সুরমা নদীর চাপনগর খেয়াঘাট এলাকায় তার নৌকা আসলে ভারি বর্ষণের মধ্যে হঠাৎ করে বজ্রপাত হয়। এতে নৌকা থেকে পড়ে নদীর পানিতে তলিয়ে যান তাজুল। এ সময় নৌকার যাত্রী উত্তর লক্ষীপ্রসাদ কুকুবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও শামীম আহমদ নামে আরো দু’জন আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নদীর পানিতে তলিয়ে গেলে তাজুল ইসলামকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে চাপনগর খেওয়াঘাটের অদূরে সুরমা নদীতে তাঁর নিথর দেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাজুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাজুল ইসলাম তার নিজস্ব ইঞ্জিন চালিত নৌকার চালক হলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধূলার সাথে জড়িত ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে তার সম্পর্ক থাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কানাইঘাটের ক্রীড়াঙ্গন সহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাজুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন গভীর শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
নিহতের ছোট ভাই নজমুল ইসলাম জানান, তাজুল ইসলাম বিবাহিত, তার ৬ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, বজ্রপাতে তাজুল ইসলাম মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তাঁর লাশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এএফ/০৬