বাজেট গতানুগতিক : মঈন খান

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১২, ২০২০
০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১২, ২০২০
০৪:৫০ পূর্বাহ্ন



বাজেট গতানুগতিক : মঈন খান

জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক ও অন্তঃসারশূন্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. মঈন খান। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সরকার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একটা বিশেষ বাজেট ঘোষণা করবে। কিন্তু আজ জাতীয় সংসদে যে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়েছে, সেটি গতানুগতিক। এর মধ্যে বিশেষ কিছু নেই। বাজেটের সারবস্তু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! বাজেটে ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে। এটি কথামালার ফুলঝুড়ি।’

তিনি বলেন, বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। গতবারের চেয়েও আকারটা বড় করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যার খুব একটা যৌক্তিকতা নেই। এই বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে।

বাজেট ঘাটতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাজেটে যে ঘাটতি ধরা হয়েছে, সেটির আকার অস্বাভাবিক। জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ। এই ঘাটতি কোথা থেকে পূরণ করা হবে— তার সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। গতবার যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা অর্জন হয়নি। এবার লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে।

উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ প্রসঙ্গে মঈন বলেন, ‘উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অথচ করোনা সংকট মোকাবিলায় মাত্র ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই উন্নয়ন খাত থেকে এক লাখ কোটি টাকা করোনা সংকট মোকাবিলায় দেওয়া যেত। কারণ, উন্নয়ন খাতে শুধু লুটপাট হয়। একটা বালিশের দাম ধরা হয় সাত হাজার টাকা, একটা পর্দার দাম ধরা হয় ৮৫ হাজার টাকা, ৫০০ টাকার গগলস কেনা হয় পাঁচ হাজার টাকায়। অর্থাৎ উন্নয়ন মানেই লুটপাট। সুতরাং ওই খাতে বরাদ্দ কমিয়ে এক লাখ কোটি টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া যেতে পারত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই বেশি প্রয়োজন ছিল।’

‘এই করোনা মহামারিতে আমাদের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এখন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। এদের কথা মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করা দরকার ছিল। এই মুহূর্তে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্ত দুঃখের বিষয় সরকার সেদিকটাতে গুরুত্ব না দিয়ে উন্নয়ন খাতে বেশি বরাদ্দ রেখেছে। যেখানে বেশি মাত্রায় দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে’— বলেন সাবেক এই পরিকল্পনামন্ত্রী।

এনপি-১৪