সংসার জীবনের ইতি টানলেন শবনম ফারিয়া

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৯, ২০২০
০৩:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২০
০৩:০৭ অপরাহ্ন



সংসার জীবনের ইতি টানলেন শবনম ফারিয়া

বিয়ের এক বছর নয় মাস পর সংসার জীবন আলাদা হলো অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশিদ অপুর। 

২০১৫ সালে ফেসবুকে ফারিয়া-অপুর পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আংটি বদল করেন। গত বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর।

মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের চোখজুড়ানো অবকাশযাপন কেন্দ্র ‘জল-জোছনা’য় খোলা আকাশের নিচে ছিল তাঁদের বিয়ের নান্দনিক আয়োজন।

আনুষ্ঠানিক বিয়ের ঠিক ১ বছর ৯ মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার বিচ্ছেদপত্রে সই করেন দুজন। কেন এমন হলো?

জানতে চাইলে ফারিয়া বলেন, ‘সমস্যা যতটা না আমাদের দুজনের, তার চেয়ে বেশি আমাদের দুই পরিবারের। আমার বাবা নেই, মাকে নিয়ে আমার পরিবার। তার ওপর আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি। আর দশজন মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদ আর আমার বিবাহবিচ্ছেদ একেবারে ভিন্ন। আমি একটা মেয়ে, আমাদের সমাজ মেয়েদের দোষটাই আগে দেখবে জানি। সে কারণে অনেকভাবে চেষ্টা করেছি, যাতে সংসারটা টেকে। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি।’

তবে সাবেক স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রকার তিক্ততা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ফারিয়া। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিচ্ছেদের এই ধকল সামলাতে চেষ্টা করছেন তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু ভালোবাসা বা বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ হয়নি। যত দিন বেঁচে আছি, আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে।’

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাঁরা লিখেছেন, ‘শুধু বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টানলাম। এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতিকে হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন আনবে, কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না।’

বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ এক পোস্টে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে। তাদের কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না।

আমার মা সব সময় একটা কথা বলেন, “আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!” ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেখলাম, বিষয়টা একপর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়। “মানুষ কী বলবে” ভেবে নিজেদের ওপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা। “জীবনটা অনেক ছোট, এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কী দরকার?” ভেবে এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি, আমরা আর একসঙ্গে থেকে কষ্টে করতে চাই না। তবু পরস্পরকে বুঝতে বছরখানেক সময় নিয়েছি। ফাইনালি “আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন” ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গেছি। অপুর জন্যে দোয়া, ভালোবাসা আর শুভকামনা। যে সুখের জন্যে আমরা আলাদা হলাম, আমরা যেন সেই সুখ খুঁজে পাই, সবাই সেই দোয়া করবেন।’

বি এন-২