ওসমানীনগর প্রতিনিধি
মার্চ ২৬, ২০২১
০২:৩১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২১
০২:৩১ পূর্বাহ্ন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও নিকৃষ্টতম গণহত্যা শুরু করে। একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু একটি রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটি ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতায় এক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনামাত্র। একটি জনগোষ্ঠীর স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে মুছে দিতে ঢাকায় চালানো ওই হত্যাযজ্ঞের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তাঁর ঘোষণা ও ২৫ মার্চের গণহত্যা বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে বেগবান করে। প্রায় শূন্যহাতে বাঙালি পাক হায়েনাদের মোকাবেলা করে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলার মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক, আনসার ভিডিপির উপজেলা প্রধান নাজমা বেগম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আবদাল মিয়া, জি এম কিবরিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অরুণোদয় পাল ঝলক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, লুৎফুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক চঞ্চল পাল, শিক্ষক শহিদ হাসান, আবদুল মান্নান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুরুঙ্গা গণকবরে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মে পাকবাহিনীর গুলিতে বুরুঙ্গায় ৭৮ জন শহীদ হয়েছিলেন।
ইউডি/আরআর-১১