মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ২৬, ২০২১
০৯:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২১
০৯:৪১ অপরাহ্ন



মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন

বিভিন্ন কর্মসূচী ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে  মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সূর্যোদয়কালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। এছাড়াও সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘স্বাধীনতা র‍্যালি’ ও অধ্যাপক হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড সৃষ্টিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের  অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস হার না মানার ইতিহাস, কারো চাপে নতি না স্বীকার করার ইতিহাস। এই গৌরবময় ইতিহাসই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা । বাঙালির সংগ্রাম এখনো চলছে এবং সেই সংগ্রাম নিজেদেরকে আরও এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম।’

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে তাঁদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহবান জানান। 

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমাদের পেছনে তাকিয়ে এ স্বাধীনতার  প্রকৃত ইতিহাস জানার একটি সুযোগ করে দিয়েছে।' জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে  ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ  যারা মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সাক্ষী আছেন, তাদের দায়িত্ব হবে প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরের জন্য প্রশ্নাতীত ও তর্কাতীত  ঐতিহাসিক লিখিত সাক্ষ্য রেখে যাওয়া যেন কেউ অতীতের মতো পরের ধনে পোদ্দারি করে বানোয়াট ইতিহাস তৈরি করতে না পারে। সেটাই হোক আজকের অর্ধশত-বর্ষ-পূর্তির অঙ্গীকার।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মাদ এফআর তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরজিত সিনহা ও মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান এবং ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ রানা। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এ ছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইনে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

বিএ-১২