শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার
মার্চ ৩১, ২০২১
১২:৪১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২১
০১:১৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বিয়ানীবাজরে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে মাত্র ২০ মিনিটের ঝড় তছনছ করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিয়ানীবাজার উপজেলার পৌরশহর ছাড়া উপজেলার প্রায় সকল এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে মেঘের গর্জনের অল্প সময়ের মধ্যে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এরপর উত্তর পশ্চিম কোণ থেকে বাতাস বইতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের বেগ ও বৃষ্টির মাত্রা বৃষ্টি পায়। অল্প সময়ের বৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিতে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা শহরের যোগাযোগ স্বাভাবিক হলেও অধিকাংশ এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে ফসলি জমি ও বোরো ক্ষেতের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে সড়কের উপর বিভিন্ন আকারের গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে স্থানীয় লোকজন গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। উপজেলার শতাধিক স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তার ছিঁড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে ১ দিন সময় লাগতে পারে। কোনো কোনো এলাকায় ২ দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকতে পারে।

বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের মাথিউরা পূর্বপাড় লাসাইতলা এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তার ছিঁড়ে সড়কের উপরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ে লণ্ডভণ্ড অবস্থা পুরো উপজেলায়। প্রধান সঞ্চালন লাইনসহ সব পর্যায়ের সরবরাহ লাইন ছিঁড়ে গেছে। অনেক জায়গায় খুঁটি ভেঙে পড়েছে। সব এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করতে সকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, 'এখন ঝড়ের সময়। উপজেলাজুড়ে ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ এসেছে। আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরের টিন উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুরো ক্ষতির হিসাব আসার পর বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন।'
এসএ/আরআর-০৪