শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার
এপ্রিল ০১, ২০২১
০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২১
০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে গণপরিবহনে ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সে সিদ্ধান্ত মানছে না বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো। আবার কিছু পরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিলেও তাদের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সিলেট-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়ক এবং উপজেলার অন্যান্য সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো পরিদর্শনে দেখা যায়, চলমান গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বদলে দাঁড় করিয়ে, এমনকি কোনো কোনো জায়গায় ঝুলে যাত্রীরা গণপরিবহনে চলাচল করছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। গাদাগাদি করে চালকসহ ৬ জন বসে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের একাধিক পরিবহন স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী-চালক কারও মুখে মাস্ক নেই। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অর্ধেক যাত্রী ওঠানোর নিয়মও লঙ্ঘন করছেন।
এদিকে, বুধবার করোনার ভয়াবহতা রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে শহরজুড়ে প্রচার চালানো হয়েছে। এসব প্রচারে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সকলকে অবহিত করা হয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিরাজ উদ্দিন জানান, চারখাই থেকে বিয়ানীবাজার আসার পথে তার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। তবে তিনি যে গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছান, সেটিতে অর্ধেক যাত্রী বহনের নিয়ম মানা হয়নি। ওই গাড়িতে কারও মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি চালক-হেলপারও ছিলেন মাস্কবিহীন।
আরেক যাত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, 'দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ আগে গাড়ি পেলেও ভাড়া দ্বিগুণ। আসলে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনে সরকার নির্দেশ দিলেও যানবাহন তো দ্বিগুণ হয়নি, ফলে গাড়ির সংকট বেড়েছে। আসলে এভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা যায়। কারণ সাধারণ সময়ও আমরা দাঁড়িয়ে বা ঝুলে চলাচল করি। সেখানে অর্ধেক যাত্রী নিলে গাড়ি সংকট হওয়াটা স্বাভাবিক।' তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'মার্কেট, বাজারে তো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সব স্বাস্থ্যবিধি গণপরিবহনে পালন হলেই তো করোনা চলে যাবে না।'
সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে চলাচলকারী মাহিশা পরিবহনের চালকের সহকারী সুমন আহমদ বলেন, 'আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছি। তবে লোকাল কিছু যাত্রী নিলে সেক্ষেত্রে এই হিসাব রাখা যায় না। তখন একটু বেশিই ভাড়া নিচ্ছি।'
বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, 'সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পৌরশহরে মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিংয়ে কাজ না হলে প্রশাসন মাঠে নামবে।
এসএ/আরআর-১২