মমতাজের মুকুটে নতুন পালক

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১২, ২০২১
১১:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২১
১২:১৫ পূর্বাহ্ন



মমতাজের মুকুটে নতুন পালক

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজে অবদান রাখছেন সারবিশ্বের এমন বিশেষ মানুষদেরকে বিচার বিশ্লেষনের মাধ্যমে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে আসছে ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি। 

এবার এই সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করলেন বাংলাদেশের ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম এমপি। শনিবার (১০ এপ্রিল) এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. পি ম্যানুয়েল তাঁকে ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদকে ভূষিত করেন।  

মমতাজ বেগম পৃথিবীতে একমাত্র শিল্পী যার আছে আট শতাধিক প্রকাশিত গানের অ্যালবামের বিশ্ব রেকর্ড। ত্রিশ বছর ধরে বাংলা গানের আবেদনকে বিশ্বের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেওয়া, সময়ের প্রয়োজনে লোকজ সঙ্গীতকে আধুনিকায়ন করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার কৃতিত্ব তাকে এনে দিয়েছে দেশ-বিদেশের অনেক সম্মাননা। পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার। সমাজ সচেতনতামূলক গানে তিনি ইতিবাচক মানসিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। এইসব কারণেই তাকে এবছর ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদকে ভূষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। 

একই সময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থিরু এজে মুরুগানানথাম, তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব ক্বাদিরী, কেরালা ড. এপিজে আবুল কালাম ইন্সটিটিউট অব বিজেনেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালক উইলাত কোরাইয়া।

অনুষ্ঠানে চেন্নাই, তামিলনাড়ু ও দিল্লীর বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

মমতাজ বেগমের জন্ম ৫ মে ১৯৭৪ মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায়। মা উজালা বেগম, বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল শিল্পী। প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন। 

গান করতে গিয়ে মৌলবাদী হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। তবে থেমে যাননি। 

২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সরাসরি দলের মনোনয়নে নির্বাচিত হন। 

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি দলের মনোনয়নে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন।

গান ও রাজনীতির বাইরেও সমাজকর্মী হিসেবে মমতাজের অবদান অনেক। মানবিক ও  ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল। ২০০৮ সালে সিঙ্গাইর উপজেলায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ শিশু ও চক্ষু হাসপাতাল।’ বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনেরও সভাপতি তিনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকে। মমতাজ বেগম আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা সংস্থা অরবিসের দৃষ্টিদূত ও অস্ট্রেলিয়ার একটি শিক্ষাবিষয়ক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

বিএ-১১