ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ২৯, ২০২১
০৬:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০২১
০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন



ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী। পবিত্র রমজান মাসে তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। একটু বাতাস ও বৃষ্টি এলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অপরদিকে সংস্কার কাজের কথা বলে প্রতি সপ্তাহে ছুটির দিনে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে সরবরাহ। সংস্কারের নাম করে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার পাশাপাশি ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

গত কয়েক বছর সিলেটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তেমন কোনো সমস্যা পোহাতে হয়নি। তবে কয়েকমাস ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজি বেড়ে চলেছে। কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটু বাতাস-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। পরে দীর্ঘসময় পর আসছে বিদ্যুৎ। অনেক সময় ঝড়ুবৃষ্টি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ থাকছে সরবরাহ।

লকডাউনে নগরের সব মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ থাকার পরও কেন এত বিদ্যুৎ বিভ্রাট তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ঝড়ুবৃষ্টির কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে সংস্কারের কথা বলে ছুটির দিনে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে গত ১৯ নভেম্বর সিলেট কুমারগাঁও সাব-স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের পর এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে লাখ লাখ নগরবাসীকে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কাজীটুলা, হাওয়া পাড়া, তাঁতিপাড়া, সওদারগরটুলা, জালালাবাদ, মিরাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। নগরবাসী বলছেন, কয়েকমাস থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহে এ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী।

নয়াসড়ক এলাকার কবির হোসেন সিলেট মিররকে বলেন, ‘প্রতিদিনই বার বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। আর প্রচন্ড গরমে রাতের বেলা বিদ্যুৎ গেলে অসহনীয় কষ্ট পোহাতে হয়।

কিছু দিন পর পর সংস্কারের কথা বলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এতো সংস্কারের পরও হালকা বাতাস দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। তাহলে এ সংস্কার করে লাভ কি প্রশ্ন রাখেন তিনি।’

জালালাবাদ এলাকার রহিমা খানম সিলেট মিররকে বলেন, ‘প্রায়ই সেহরীর সময় বিদ্যুৎ গেলে আর আসে না। গরমে ঘুমানো যায় না। অনেক সময় তারাবীর নামাজে দাঁড়ালেই বিদ্যুৎ চলে যায়।’

এ বিষয়ে বিউবো সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন সিলেট মিররকে বলেন, ‘নগরের জিন্দাবাজার থেকে জেলরোড পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ চলার কারণে আশপাশ এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া নগরের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।’

গত কয়েক মাস ধরে এতো সংস্কারের পরও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো বৈশাখ মাস। এসময় ঝড়ুবৃষ্টিতে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। তবে দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আমরা তাৎক্ষণিক কাজ করি।’

এনএইচ/আরসি-০১