বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ০৫, ২০২১
০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ০৫, ২০২১
০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
করোনার দুঃসময়, রমজান মাস ও ঈদকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সহস্রাধিক দরিদ্র পরিবারের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। সিলেটের বালাগঞ্জ ইউনিয়নের তিলকচাঁনপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজাবত আলীর প্রয়াত সহধর্মীনির নামে নামকরণ করা রহিমা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র সহস্রাধিক পরিবারকে এই খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের মানবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (২ মে) বালাগঞ্জ উপজেলার হরিশ্যাম গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। রহিমা ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য হারুন মিয়ার সভাপতিত্বে হরিশ্যাম গ্রামে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মধু।
ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য হিরন মিয়ার সঞ্চালনায় অন্যান্যের বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মো. কাজল মিয়া, ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য কাপ্তান মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল হামিদ, মানিক মিয়া, ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য নাঈমুর রহমান, সমাজকর্মী আবুল হাছান, রুশন মিয়া, স্থানীয় মাদরাসার মুহতামীম ছাদ উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগের দিন শনিবার (১ মে) রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ভেঁড়ীগাঁও গ্রামে ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রহিমা ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য আনছার আলী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজারের পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।
সমাজকর্মী জায়েদ আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ, ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক ছফু আহমদ, ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি মুয়াজ্জেম হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানবীর চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা শামীম আহমদ, সাংবাদিক মো. কাজল মিয়া, ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য মাওলানা খালেদুর রহমান, নাঈমুর রহমান, সমাজসেবক শাহ আহমদ আলী, আব্দুর রশীদ শীষ মিয়া, আবুল হাছান, রুশন মিয়া প্রমুখ।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রহিমা ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ বলেন, 'আমার প্রয়াত ফুপুর নামে এই ফাউন্ডেশনটি গঠনের পর এটি হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে যেকোনো দুর্যোগে অসহায় দরিদ্র মানুষের কষ্ট দূর করা সম্ভব।'
এছাড়া গত ৬ এপ্রিল নজাবত আলীর বাড়িতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২ শতাধিক পরিবারকে ৩০ কেজি করে খাদ্য উপহার দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১২ এপ্রিল নজাবত আলীর ভাই বালাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ছিদ্দেক আলীর বড় ছেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী আজিজুর রহমানের পক্ষ থেকে আরও প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারকে ৩০ কেজি করে খাদ্য উপহার দেওয়া হয়।
রহিমা ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্য নাঈমুর রহমান বলেন, 'আর্তমানবতার সেবায় আমার প্রয়াত চাচির নামে এই ফাউন্ডেশনটি গঠন করা হয়েছে। এটি যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত একটি চ্যারিটি সংস্থা। ফাউন্ডেশন গঠনের পর এ পর্যন্ত আমরা প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে দিতে পেরেছি। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'
এসএ/আরআর-০৬