অপরিশোধিত সোনাও আমদানি করা যাবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১৮, ২০২১
০২:২৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৮, ২০২১
০২:২৭ পূর্বাহ্ন



অপরিশোধিত সোনাও আমদানি করা যাবে

এখন থেকে সোনার বার ও সোনার অলঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত সোনা, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানি করা যাবে। ‘স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২১)’ নীতিমালায় এ আমদানির অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

সোমবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নীতিমালায় সোনা পরিশোধনাগারের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনটা সোনা হিসেবে বিবেচিত হবে, কোথায় কোথায় পরীক্ষা করা যাবে তা বলা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘সোনার বার ও সোনার অলঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত সোনা, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানি করা যাবে। শুধু সোনা নয়, কয়লাও আনা যাবে। অপরিশোধিত সোনা বা আংশিক পরিশোধিত সোনা থেকে বিভিন্ন গ্রেডের সোনার বার তৈরি করতে পারবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি মান ঠিক করে দেবে।

তিনি বলেন, ‘সোনার বার রফতানির ক্ষেত্রে রফতানিকারকদের অবশ্যই সোনা পরিশোধনাগার থাকতে হবে। নিজস্ব ব্যবসার উদ্দেশে সোনার বার আমদানির ক্ষেত্রে জামানত প্রয়োজন হবে না বলে নীতিমালায় নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, শুধু সোনা নয় অন্যান্য দামি দ্রব্যও এটার সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত করা হয়। কারণ সেগুলোর সঙ্গে অনেক বাই প্রডাক্ট থাকে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে শ্রম সস্তা, তাই বাই প্রোডাক্ট আসলে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। এসব বাই প্রোডাক্টের আন্তর্জাতিক বাজারও রয়েছে। যেমন-হীরা কেটে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এসব দ্রব্যের অনেক বাই প্রোডাক্টও পাওয়া যায়।’

বাংলাদেশ সোনা পরিশোধনাগারের তালিকায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করলে এই তালিকা আমরা করতে পারব। সেক্ষেত্রে বাইরের অনেক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিও এখানে আসবে।’

আরসি-০২