সিন্ডিকেটের জন্ম দিয়েছেন ওসমানীনগরের ইউএনও : সাংসদ মোকাব্বির

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


মে ২৪, ২০২১
১২:৫৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৪, ২০২১
১২:৫৩ পূর্বাহ্ন



সিন্ডিকেটের জন্ম দিয়েছেন ওসমানীনগরের ইউএনও : সাংসদ মোকাব্বির

সিলেটের ওসমানীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নানা কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, তিনি (ইউএনও) আসার পর ওসমানীনগরে সিন্ডিকেটের জন্ম দিয়েছেন। যে অফিসে এখন আমি রয়েছি, সেই অফিসের কর্তা যদি সিন্ডিকেট বা দুর্নীতিতে জড়িত থাকেন তবে সেটা দুঃখজনক। এই সিন্ডিকেটের কথা আমি জাতীয় সংসদে নাম ধরে ধরে উত্থাপন করব। যারা দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তারা কীভাবে আমার উপজেলায় কাজ করে আমি সংসদে তা জানতে চাইব।

রবিবার (২৩ মে) সকালে ওসমানীনগরের গরিব-অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে ইউএনওকে আশা করেছিলাম। তার কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেছেন! কিছুদিন আগে এই ইউএনও’র দুর্নীতির বিষয়ে আমি বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেছিলাম। তাকে ওসমানীনগর থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিলাম। বিভাগীয় কমিশনার ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আমি দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করতে পারি না। যদি আমার মেয়েও এখানে বসে দুর্নীতি করত, তবে আমি তাকে অফিস থেকে বের করে দিতাম। অবিলম্বে ওসমানীনগর-বিশ্বনাথে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলি করা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ঘাড় ধরে অফিস খালি করে দেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন রায়ের সঞ্চালনায় টিন ও টাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. গয়াস মিয়া, দয়ামীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন নুনু ও প্রবাসী নেতা গোলাম কিবরিয়া।

অনুষ্ঠানে সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ওসমানীনগরের ২৩টি গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ৪০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।

এদিকে সাংসদ মোকাব্বিরের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, আমি মাসিক রাজস্ব মিটিংয়ে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এমপি মহোদয় কেন এমনভাবে বললেন বুঝতে পারছি না। ঢালাওভাবে না বলে তিনি যদি অনিয়মের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করতেন সেটা মনে হয় ভালো হতো। 


ইউডি/আরআর-০৮