সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৬, ২০২১
০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৬, ২০২১
০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সারাদিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার থেকে বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীগুলো। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন বিভিন্ন জেলার নানা স্থানে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাটে পানি উঠছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লক্ষাধিক মানুষ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে ভয়ঙ্ককর রূপ ধারণ করবে সামুদ্রিক এ ঝড়টি। ইতোমধ্যে সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার দুপুর নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আরসি-০১