নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৮, ২০২১
০১:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৮, ২০২১
০১:১১ পূর্বাহ্ন
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থী ও পর্যটক সমাগমে বিধি-নিষেধ রয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না অনেকে। অন্যান্য পর্যটন এলাকা ও পার্ক বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন শতশত লোক কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় ভিড় করছেন। পর্যটকের সমাগম ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ভোলাগঞ্জে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। গতকাল বুধবার সহস্রাধিক পর্যটক সেখানে ভিড় করেন। এভাবে দিনদিন এই পর্যটন এলাকায় ভিড় বাড়ছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে তিনটি বাস নিয়ে গতকাল বুধবার ভোলাগঞ্জে যান একদল যুবক। তারা জানান, লকডাউনের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় নিজেদের বন্ধু-বান্ধব ও নিকটাত্মীয়রা সবাই একত্রে ভোলাগঞ্জে গেছেন। এই সময়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি জানা আছে বলেও জানান এই দলেরই অন্যতম যুবক ইয়ামিন।
ময়মনসিংহ থেকে গতকাল বুধবার স্বামীকে নিয়ে সিলেটে এসেছেন তাজকিয়া ইসলাম। মাজার জিয়ারতে এসে তারা জানতে পারেন ভোলাগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রে লোকজনের যাতায়াতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অনেকেই যাচ্ছে। তাই নিজেরাও সেখানে যেতে আগ্রহী হন। গতকাল তিনি স্বামীকে নিয়ে সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে যান।
১০ নম্বর ঘাট থেকে নৌকায় সাদাপাথর মোড়ে যেতে হয়। গতকাল এই ঘাট থেকে অন্তত একশটি নৌকা যাত্রী নিয়ে সাদাপাথরে গেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা জেলা প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিলেটের সব পর্যটন এলাকা, মোটেল এবং পার্কে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত ঈদ উল ফিতরের সময় সিলেট শহরতলীর চাবাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পরে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে তা বন্ধ হয়। সম্প্রতি দক্ষিণ সুরমার সিলামে অবস্থিত রিজেন্ট পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, ভোলাগঞ্জে পর্যটক সমাগম ক্রমাগত বাড়লেও কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এসএইচ/আরসি-১৫