সিলেট নগরেই ভূমিকম্পের ফল্ট!

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৯, ২০২১
০৬:৪৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১০, ২০২১
০৫:৫০ অপরাহ্ন



সিলেট নগরেই ভূমিকম্পের ফল্ট!
জরিপের দাবি বিশেষজ্ঞদের

সিলেটে গত ১০ দিনের মধ্যে ১০ বার ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। ফলে সিলেটজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্প শুধু সিলেট নগরে অনুভূত হওয়ায় নগরের নিচে নতুন ফল্ট লাইন তৈরি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অনেকে স্বাভাবিক বললেও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, সিলেট নগরের নিচে কোনো ফল্ট লাইন নতুন করে তৈরি হয়েছে কি না সেটি জরিপ করে দেখা দরকার। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা প্রস্তুতির ওপর।

সাধারণত সিলেটে হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হয়ে থাকে আসাম, ত্রিপুরা কিংবা মেঘালয়। তবে এবার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভিন্ন। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ দিনে হওয়া ভূমিকম্পের বেশির ভাগের উৎপত্তিস্থল ছিল রাতারগুল, পাশের জৈন্তাপুর উপজেলার সারি নদীর আশপাশ।

সর্বশেষ সোমবার হওয়া জোড়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে। এসব কারণে সিলেট নগরের নিচে নতুন ফল্ট লাইন তৈরি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের জানা মতে নগরের আশপাশে কোনো ফল্ট লাইন নেই। তবে এখন যেহেতু ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে এবং এসবের উৎপত্তিস্থল দেখা যাচ্ছে সিলেটের আশপাশের এলাকা, তাই এটা নিয়ে নতুন করে ভাবা জরুরি। এ জন্য গবেষণা ও জরিপ জরুরি। কারণ সিলেটে নতুন করে কোনো ফাটল বা ফল্ট লাইন তৈরি হয়েছে কি না, এটা দেখা দরকার।’

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘যাঁরা আগে জরিপ করেছিলেন অর্থাৎ ভূমিকম্পের জোনগুলো চিহ্নিত করে ভাগ করেছিলেন, তাঁরাই কাজটি করলে ভালো হয়।’

এটা দ্রুত করা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৯ মে ভূমিকম্পের পর এই ১০ দিনে এটা করা গেলে ভালো হতো। যদি পুরো সিলেটে জরিপ করা না যায়, তাহলে আপাতত জালালপুরের আশপাশের কয়েকটি জায়গায় করে দেখা যেতে পারে।’

এসব কাজ এখন দ্রুত করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, এটি করা গেলে সাধারণ মানুষের কৌতূহল, আতঙ্ক ও নানা প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে। পাশাপাশি পরিস্থিতি অনুযায়ী করণীয় ঠিক করা সহজ হবে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি দুর্যোগবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও উদ্যোগী হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

আরসি-১৩