সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ১০, ২০২১
০১:১৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১০, ২০২১
০১:১৯ পূর্বাহ্ন
ভারতে নারী পাচার ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দুইজন।
ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস বুধবার (৯ জুন) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
স্বীকারোক্তি দেওয়া দুইজন হলেন- মেহেদি হাসান বাবু ও মহিউদ্দিন। একই আদালত আব্দুল কাদের নামে আরেক আসামির রিমান্ড শেষ হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩ জুন এই তিন আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বুধবার রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার পরিদর্শক মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করেন।
এ সময় মেহেদি হাসান বাবু ও মহিউদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তিনি। এরপর তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তিনজনকেই জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
ভারতে পাচার হওয়ার পর ৭৭ দিনের যৌন নির্যাতন ও বন্দিদশা থেকে সম্প্রতি পালিয়ে দেশে ফিরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় গত ১ জুন মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এক তরুণী। মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায়ই তিনজনকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে মেহেদি হাসান ওই কিশোরীসহ এক হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচারে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের মামলার বাদী ভুক্তভোগীসহ পাঁচ শতাধিক নারীকে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কক্ষে রাখতে সহায়তা করেন বলে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী নারীদের মোটরসাইকেলের মাধ্যমে সীমান্তে মানব পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন ওই দুই ব্যক্তি।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ভারতে পাচারের পর ওই কিশোরীকে ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকার কয়েকটি বাসায় রেখে যৌন নির্যাতন করা হয়। সেখানে হাতিরঝিল এলাকার আরও কয়েকজন তরুণী ও কিশোরীর সঙ্গে দেখা হয় ওই কিশোরীর।
বিএ-০৫