সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২০, ২০২১
০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২০, ২০২১
০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
করোনার মধ্যেও থেমে নেই দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। দিন নেই রাত নেই কোথাও না কোথাও ২৪ ঘণ্টাই কাজ চলছে। রাজধানীর অন্যতম যানজটের রুট মিরপুর-মতিঝিলকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জুন থেকে যাত্রা শুরু করবে মেট্রোরেল। পুরো প্রকল্পটি চালু হলে মাত্র ৩৫ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছানো যাবে। দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে ৫ লাখের কাছাকাছি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মেট্রোরেল চালুর চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কাজের গতিতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও এখন পুরোদমে কাজ চলছে। আগামী মাসের কাজের অগ্রগতি থেকে বোঝা যাবে, ১২ কিলোমিটার ডিসেম্বরে চালু করা যাবে কিনা?
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও কেবল পিলার দাঁড়িয়ে আছে, কোথাও স্থাপন করা হয়েছে ভায়াডাক্ট (দুই পিলারকে সংযোগকারী কংক্রিটের স্থাপনা), কোথাও স্টেশন নির্মাণের কাজ, আবার কোথাও পুরোপুরি নির্মিত হয়েছে লাইনের কাজ।
মাটি থেকে ১৩ মিটার ওপরের এই সড়কে উঠলেই বোঝা যাবে এটি কোনো ফ্লাইওভার বা উড়াল সড়ক নয়, এটি দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের ১৪ দশমিক ৪৯ কিলোমিটারের ভায়াডাক্ট স্থাপন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীর মূল ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার চালুর জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। এর মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে বসছে রেলওয়ে স্ল্যাব। দিয়াবাড়ী থেকে ডিওএইচএস পর্যন্ত রেলওয়ে সিøপার ও বৈদ্যুতিক লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মিরপুর পল্লবী পর্যন্ত স্টেশন স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে দুই সেট মেট্রোরেলের কোচ।
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে উত্তরায় মেট্রোরেল প্রথম স্টেশনে কথা হয় প্রকৌশলী এস এম শাহিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মহামারীর কারণে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে কাজের গতি কমে গিয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কাজের গতি কিছুটা কম থাকলেও এখন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের পঞ্চম স্টেশন পর্যন্ত স্লিপারের কাজ শেষ হয়েছে। বসেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। রেলের ডিপোর বিভিন্ন ভবনের কাজও সম্পন্ন। এখন চলছে সজ্জার কাজ। এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেশনের কাজও শেষ পর্যায়ে। এখন ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল সিস্টেম, টাইলসের কাজ চলছে। উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনের কনকোর্স ছাদ এবং প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ শেষ। বাকি পাঁচ স্টেশন মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের কনকোর্স ছাদ ও প্ল্যাটফর্ম নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। কাজিপাড়া ৭ নম্বর স্টেশন, শেওড়াপাড়া ৮ নম্বর ও আগারাগাঁও ৯ নম্বর স্টেশনের কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। এসব স্টেশনের এখন ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
আগারাগাঁও স্টেশনে কর্মরত প্রকৌশলী মো. সোহাগ বলেন, মিরপুর ১০ থেকে আগারাগাঁও পর্যন্ত কাজের গতি একটু কম। ব্যস্ততম সড়ক হওয়ায় দিনে কাজ করতে সমস্যা হয়। তবে রাতে পুরোদমে কাজ চলে। এখন স্টেশনের ছাদের কাজ চলেছে। এখন পর্যন্ত ৩০-৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরসি-০৬