সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২২, ২০২১
০১:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২২, ২০২১
০১:৪১ অপরাহ্ন
করোনার এই দুঃসময়েও ভূমিকম্প মোকাবেলায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ২৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
সম্প্রতি ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই তথ্য দেন ।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে সর্বপ্রথম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা হবে। কারণ যেকোনো দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও আগুনে কাজ করেন তাঁরা। তারপর বড় শহরগুলোর জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হবে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় টাকার কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতি হওয়ার পথে। কী লাগবে আপনারা নিঃসকোচে বলবেন। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, বড় ভূমিকম্প দুর্যোগ ঘটে গেলে উপায় থাকবে না। তাই আগে থেকে যত প্রস্তুতি নেওয়া যায় ততই মঙ্গল। যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৯ মে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকার সঙ্গে ভূমিকম্পসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলে পরিকল্পনা শুরু করেছিলাম। জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হওয়ার পরও তারা এখন প্রায় ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হয়ে উঠেছে। ১০ মাত্রার ভূমিকম্পেও তেমন ক্ষতি হয় না। তাদের এই পর্যায়ে আসতে ৩০ বছর লেগেছে। তারা বলেছে, আমাদের ৫০ বছর লাগতে পারে।
২০৭১ সাল টার্গেট করে কাজ শুরু হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাঝখানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে বড় অগ্রগতি হয়নি। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি এই কাজটাতে হাত দিতে। জাইকার সঙ্গে চুক্তি হবে। তারা বিনা সুদে আর্থিক সহায়তা দেবে। আমরা হয়তো দেখে যেতে পারব না। পরবর্তী প্রজন্ম এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
ভূমিকম্পের সংকেত দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।
আরসি-১৩
সূত্র: কালের কণ্ঠ