সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ১০, ২০২১
০৬:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১০, ২০২১
০৬:৫৬ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ বাদী মামলা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ শেষ হলে মামলা নথিভুক্ত হবে।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা।
তিনি বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করবে, তদন্তও করবে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ এখনও শেষ হয়নি। ফায়ার সার্ভিস তাদের কাজ সম্পন্ন ঘোষণা করলে মামলা নথিভুক্ত হবে।
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে ঢামেকে আছি। নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিচয় নিশ্চিতের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
৫২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করলেও একটিবারের জন্যও আসেননি সজীব গ্রুপের মালিক এমএ হাসেম।
কারখানার শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, কারখানাটি তিন শিফটে পরিচালিত হতো। সেখানে কাজ করেন দুই হাজারের বেশি শ্রমিক। কারখানাটিতে সেজান জুসের কর্ক ও লেভেল প্যাকেটিংয়ের কাজ করা হতো।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে নিচ তলায়। ভবনটির ছাদ থেকে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
তবে জীবন বাঁচাতে গিয়ে অনেক শ্রমিক ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আহত হন। নিহতও হন কয়েকজন, যাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে আগুন লাগা ভবনটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল, ওই ভবনের চারতলায় তালাবদ্ধ থাকা ও অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র না থাকায় এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
তাছাড়া ভবনটি কোনো বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি করা হয়নি- এমন অভিযোগও উঠেছে স্থানীয় পর্যায়ে। কিন্তু অভিযোগগুলো সত্য নয় বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই দুই তলায় কোনো লাশের সন্ধান মেলেনি বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান এবং দায়ীদের খুঁজে বের করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস এবং শ্রম অধিদফতরের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, তদন্তে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। দোষী যেই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বি এন-০৫