পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই চালের দাম এখন সর্বোচ্চ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ১৪, ২০২১
০৪:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২১
০৪:৫৩ অপরাহ্ন



পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই চালের দাম এখন সর্বোচ্চ

দেশে বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। সরকারি গুদামে মজুত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দাম কমতির দিকে। কিন্তু দেশে বাজারের চিত্র তার উল্টো। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেই রাজধানীর বাজারে মোটা চালের দাম আবার কেজিতে ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। খুচরা দোকানে গতকাল মঙ্গলবার মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, যা এক সপ্তাহে দুই টাকা বেড়েছে। গত বছরের এ সময়ের চেয়ে দর ১৩ শতাংশ বেশি। 

উদ্বেগজনক দিক হলো, প্রতিবছর বোরো মৌসুমে দেশে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। কারণ, এ মৌসুমে মোট চালের ৫৫ শতাংশের বেশি উৎপাদিত হয়। এবার দাম তেমন একটা কমেনি, বরং মৌসুম শেষ না হতেই বাড়ছে।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাংলাদেশেই এখন চালের দাম সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এএফও) সর্বশেষ প্রতিবেদন এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই সব দেশে চালের দাম কমেছে। ফলে বাংলাদেশ মোটা চাল আমদানি করলে প্রতি কেজি দাম পড়বে ৩৩ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যা বাংলাদেশের বর্তমান বাজারদরের চেয়ে অনেক কম।

শুধু মোটা চাল নয়, মাঝারি ও সরু চালের দামও কমেনি। ঢাকার খুচরা দোকানে মাঝারি বিআর-২৮ ও সমজাতীয় চাল মানভেদে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশের মতো বেশি। আর সরু মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় বাজারে। এ ক্ষেত্রে দাম গত বছরের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।

সাবেক কৃষিসচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এম এম শওকত আলী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই দেশের দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। চলমান বিধিনিষেধে নতুন করে বহু মানুষের আয় কমেছে। অনেকের আয়ের পথও বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে চালের চড়া দাম তাদের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। সরকারের উচিত দ্রুত খোলাবাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রমের পরিসর বিস্তৃত করা। পাশাপাশি সরবরাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

দেশে আবার চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘আমরা সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছি। বেসরকারি খাতে আমদানি করতে শুল্ক কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে সচিব বলেন, কৃষকেরা মোটা চাল আগের চেয়ে কম উৎপাদন করছেন। ফলে মোটা চালের জোগান কিছুটা কম। এতে হয়তো দাম বাড়ছে।

আরসি-১৪

সূত্র: প্রথম আলো