র‍্যাব হেফাজতে পরীমণি

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ০৪, ২০২১
০৭:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৪, ২০২১
০৯:৫৩ অপরাহ্ন



র‍্যাব হেফাজতে পরীমণি

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়িকা পরীমণিকে হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে তার বনানীর বাসায় প্রায় ৩ ঘণ্টার অভিযানের পর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয় ।

প্রাথমিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। র‍্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই সূত্র জানায়, পরীমণির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। 

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বনানীর লেক ভিউ ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে র‍্যাবের অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এলিট ফোর্সটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

অভিযান চলাকালে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পরীমণির বাসার নিচে দেখা যায়, র‍্যাব-১ এর একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। এছাড়া, পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ছিল। বাসার আশপাশে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। মূল গেটের সামনে কয়েকজন র‍্যাব সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযান শুরুর ৩০ মিনিট পর তার বাসায় একে একে তিন থেকে চারজন র‍্যাবের নারী সদস্য প্রবেশ করেন। এরপর পরীমণিকে আটকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে র‌্যাব ও পুলিশের সদ্যরা যখন পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেন তখন এ ঘটনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন পরীমণি।

লাইভে পরীমণি বলেন, 'শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কি করবো। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরোজা খুলবো।'

তিনি বলেন, আমার বাসার গেটে এসে তারা দরোজা ধাক্কাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছেন, তারা পুলিশ। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ওসি হারুণ ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরোজা খুলতে পারো। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরোজা খুলবো না।

গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।

এর পরদিন নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ১৫ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।




এএফ/০৩