সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ২৮, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২১
০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯২ সালের ২৮ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন, প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাদের অন্যতম। মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
আব্দুল জব্বার একাধারে যেমন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সংগঠক ছিলেন, তেমনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও সহসভাপতি এবং মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এজন্য তাকে কারাবরণ এবং নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বার ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতিবিদ। মাটি ও অবহেলিত মানুষের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্নাঢ্য ও অহংকার করার মতো। তার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা, কর্মীর প্রতি স্নেহ প্রবণতা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। নন্দিত জননেতা আব্দুল জব্বারের জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন ও পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মরণসভা, ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠান, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া, দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র-সহ জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ হবে।
আরসি-০৩