দখলে জৈন্তাপুরের আধা কিলোমিটার সড়ক, দুর্ভোগ

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর


সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
১০:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
১০:০৬ অপরাহ্ন



দখলে জৈন্তাপুরের আধা কিলোমিটার সড়ক, দুর্ভোগ

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার আধা কিলোমিটার রাস্তায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ না থাকাকে এ বিড়ম্বনার জন্য দায়ী করেছে সচেতন মহল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহখাঁ রোড থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স রোড পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় প্রতি রবিবার ও বুধবার সরকারি হাট-বাজার বসে। এ দিনগুলোতে রাস্তার দুইপাশ দখল করে গড়ে ওঠে অবৈধ বাজার। আর বাজারের ভেতরে ঘর বানিয়ে জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। যার কারণে হাট-বাজারের দিন বিভিন্ন ব্যক্তি জায়গা না পেয়ে জনদুভোর্গ সৃষ্টি করে রাস্তা দখল করে বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছে। 

অবৈধভাবে রাস্তা দখলের কারণে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাণীসম্পদ কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে আসা লোকজন মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তায় বিড়ম্বনায় পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহান। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতেও মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। জৈন্তাপুরবাসী একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের নিকট রাস্তাটি মুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে এলেও কার্যত প্রশাসনের উদাসীনতায় কারণে রাস্তা দখল করে বাজার সৃষ্ট হওয়ায় সপ্তাহের ২ দিন চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। 

জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা ইসমাইল আলী, হরমুজ আলী, কালা মিয়া ও ইজ্জত আলী বলেন, বাজারের বিভিন্ন শেড দখল করে হোটেল-রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে। বাজারের ভেতরে সবজি নিয়ে আসা লোকজন জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়েই রাস্তা দখল করছেন। বাজারের ভেতরে কাপড় বিক্রির সুনির্দিষ্ট শেডগুলো অবৈধভাবে হোটেল-রেস্টুরেন্টের দখলে চলে যাওয়ায় কাপড় বিক্রেতারা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন। এসব আমরা বার বার উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। মাঝে-মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে ভাসমান ব্যবসায়ীদের তাড়াতে দেখা যায়।

তারা আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জনচলাচলের রাস্তা থেকে সরিয়ে ভাসমান ব্যবসায়ীদের বাজারের ভেতরে স্থান দিয়ে রাস্তায় চলাচলকারীদের দুর্ভোগ হ্রাসের দাবি জানাচ্ছি।

নিজপাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া বলেন, আমি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হলেও অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌরীন করিমের নিকট লিখিত আবেদন করেছিলাম। তারপর থেকে উপজেলা প্রতিটি মাসিক সভা, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় প্রস্তাব দিলেও প্রশাসনিক জটিলতায় বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, আমি জরুরি কাজে ঢাকায় আছি। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এ জন্য সময় লাগে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরকে/আরআর-০১