ইভ্যালির রাসেল দম্পতিকে নেওয়া হয়েছে গুলশান থানায়

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
০৫:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
০৫:৪৫ অপরাহ্ন



ইভ্যালির রাসেল দম্পতিকে নেওয়া হয়েছে গুলশান থানায়

প্রতারণার অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় গ্রেপ্তার  ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান 'ইভ্যালির' সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে রাজধানীর গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। 

আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাসেল দম্পতিকে র‍্যাবের সাদা প্রাইভেট কারে করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়। 

এদিকে, স্ত্রীসহ রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে র‍্যাবের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলেনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল পদাধিকারবলে নিজেরা মাসিক পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তারা কোম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি (রেঞ্জ রোভার ও অডি) ব্যবহার করেন। 

তিনি বলেন, ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি গ্রাহকের টাকা আটক হয়ে আছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। প্রায় ছয় বছর চাকরির পর ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং পরে তিনি ওই ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে আগের ব্যবসালব্ধ অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিটির তিনি একাধারে এমডি ও সিইও এবং তাঁর স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেল দম্পতিকে। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয় তাঁদেরকে।

আরসি-১১