মানহীন ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন



মানহীন ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা জরুরি
সেমিনারে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘ওষুধ উৎপাদন খাতে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, মানহীন ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’

তিনি বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ক সেমিনারে একথা বলেন।

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘চাহিদার প্রায় ৯৭ শতাংশ ওষুধ এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। বাকী ৩ শতাংশ আমদানী হচ্ছে। পাশাপাশি ওষুধ শিল্পের ব্যাপক প্রসারের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫৬টি দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।’

নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত এ সেমিনারে ৩টি খসড়া প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। ইউএসপির চিফ অব পার্টি ডা. সৈয়দ ওমর খৈয়াম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএমএ-এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মইনুল হক, শাবিপ্রবির অধ্যাপক মিজানুর রহমান, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ফজলুর রহিম কায়সার, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, স্বাস্থ্য পরিচালক (সিলেট) হিমাংশু লাল রায়, সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, কেমিস্ট ও ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী এবং ক্যাব-এর সভাপতি জামিল চৌধুরী প্রমুখ।

মেজর জেনারেল মাহবুব আরও বলেন, ‘আমাদের ওষুধ শিল্পের আকার এখন ২৫ হাজার কোটি টাকা। গার্মেন্টের পরে এখন ওষুধ রপ্তানী খাত যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। তবে অধিকাংশ মানসম্পন্ন ওষুধের পাশাপাশি কিছু কিছু মানহীন এবং ভেজাল ওষুধ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে আসছে; এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই, সবক্ষেত্রে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এ লক্ষে দুটি গাইডলাইনের খসড়া তৈরি হয়েছে বলে জানান বক্তারা।

সেমিনারে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগুলো চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।

বিএ-১৩