মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
০৪:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
০৪:৩১ অপরাহ্ন
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পিয়াইন নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চরে ফুটেছে সাদা কাঁশফুল। এই মনোরম দৃশ্য মন কাড়ছে পর্যটকদের। সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন এ স্থানে ভিড় করছেন অনেকে।
পিয়াইনের বুকে জেগে উঠা চর ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাফলং ঘুরতে আশা পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন কাশফুলের বাগানে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দীর্ঘদিন পর্যটন স্পট বন্ধ থাকা এবং জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় জাফলংয়ের পিয়াইনের বুকে চর জেগেছে। সুবিশাল চরজুড়ে প্রাকৃতিকভাবে ফুটে উঠেছে কাঁশফুল। ঘুরতে আশাদের জন্য বোনাস হিসেবে বিনোদন দিচ্ছে কাঁশফুলে বিছানো বাগান। সৌন্দর্য পিপাসুরা নতুন করে এই কাঁশফুলের সঙ্গে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের মতো করে আনন্দ উপভোগ করছেন।
পর্যটকরা বলছেন, সাধারণত সিলেট অঞ্চলের সুবিশাল কাঁশফুলের বাগান দেখা মেলে না। স্বচ্ছ পানি, ঝর্ণা, পাথরের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে তারা জাফলং যান। এখন কাশফুলের সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করছে আরও।
ঢাকা থেকে আসা ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার গোলজার হোসেন বলেন, ‘নতুন নতুন পর্যটনের স্থান খুঁজে বেড়াই। স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের মাধ্যমে খোঁজ মিলে জাফলং পিয়াইন নদীর বুকে জেগে উঠা চরে বিশাল এলাকায় কাঁশফুল ফুটেছে। ফটোগ্রাফির লোভ সামলাতে না পেরেই দ্রুত ছুটে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত সৌন্দার্য্যপ্রেমীরা প্রাকৃতিক ঝর্ণা, সাদাপাথর আর স্বচ্ছ জলরাশির সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেটে আসেন। মায়াবি ঝর্ণার সন্নিকটে বিশাল চরজুড়ে কাঁশফুল ফুটে উঠেছে। এটা আসলেই সিলেটের পর্যটনকে নতুনত্ব দেবে।’
সম্প্রতি ঢাকা থেকে জাফলংয়ে ঘুরতে যান সুফিয়া জামান, রেহনুমা, চিকিৎসক আশিকুর রহমান আশিক, সিলেট থেকে সাদেক আহমদ। তারা সবাই ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। এছাড়া জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলামও যান সম্প্রতি। তারা জানান, ‘কাশঁফুলের সন্ধান পেয়ে স্থানটিকে পর্যটনপ্রেমীদের কাছে তুলে ধরার জন্য কাজ করছি। আমাদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন পিয়াইনের বুকে চিরে জেগে ওঠা কাঁশফুলের চরকে সংরক্ষণ করা হোক।
পর্যটক মুজাহিদুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মায়বী ঝর্ণা ঘুরতে গেছেন। ঝর্ণা দেখতে গিয়ে কাঁশফুলের বিশাল এলাকা দেখে মুগ্ধ তারা।
এখানে কাঁশফুল রয়েছে জানা ছিল না মুজাহিদের। হঠাৎ করে কাঁশ দেখে লোভ সামলাতে না পেলে সেখানে যান তিনি। এতে তাদের পরিবারে আনন্দ আরও বাড়ে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘বিশাল চরজুড়ে কাঁশফুল ফুটেছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এই প্রথম জানলাম। এ জায়গাটি পর্যটকদের জন্য উপভোগের স্থান হলে অবশ্যই সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
আরকেএস/বিএ-০৫