রাশিয়ায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি, মস্কোতে লকডাউন

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৮, ২০২১
০৩:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০২১
০৩:৩৬ অপরাহ্ন



রাশিয়ায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি, মস্কোতে লকডাউন

টিকাদান কর্মসূচি স্থবির হয়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে জারি হওয়া এই লকডাউন চলবে আগামী ১১ দিন; পুরো সময়জুড়ে বন্ধ থাকবে দোকান-পাট, স্কুল এবং রেস্তোরাঁ।

অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা যেমন— পণ্য-সামগ্রীর খুচরা বিক্রির দোকান, রেস্তোরাঁ, ক্রীড়া এবং বিনোদনের স্থানের পাশাপাশি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ থাকবে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

তবে এই সময়ে শুধুমাত্র খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি খাদ্য-পণ্য বিক্রির দোকান খোলা থাকবে। দেশটিতে গত কিছুদিন ধরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এর লাগাম টানতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বে যে কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তার মধ্যে রাশিয়া অন্যতম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মারা গেছেন ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। করোনার ব্যাপক উল্লম্ফনেও দেশটির সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর মতো কঠোর লকডাউনের পথে যায়নি কখনোই।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনা টিকা স্পুটনিক-৫ প্রয়োগের মাধ্যমে মহামারির লাগাম টানার আশা দেখলেও দেশটিতে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে মানুষের সন্দেহ রয়েছে। যে কারণে এখনও অনেকেই টিকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটির মাত্র ৩২ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার উভয় ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে আসা ওয়েবসাইট গোগোভ।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ছুটির নির্দেশ দেন। মস্কো কর্তৃপক্ষ পুতিনের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার থেকেই অপ্রয়োজনীয় সব পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

বুধবারও রাশিয়ায় করোনাভাইরাসে মারা গেছেন এক হাজার ১২৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৮ জনে পৌঁছেছে; যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে একক কোনও দেশে সর্বোচ্চ।

এছাড়া রাশিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখের বেশি মানুষ। যদিও দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করছে।

বি এন-০৪