তাহিরপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ০২, ২০২২
০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০২, ২০২২
০৬:০১ অপরাহ্ন
গত দু’দিনের পাহাড়ি ঢল ও পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গুয়া হাওর পাড়ের নজরখালি বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে। আজ সকাল ১১টার দিকে বাঁধটির উপর দিয়ে ঢলের পানি উপচে প্রবেশ করতে থাকে। নদীতে আগাম পানি আসায় নজরখালি বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে জয়পুর, গোলাবাড়ি গ্রামের লোকজন রবিবার রাত থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে গেলেও বাঁধটির শেষ রক্ষা আর হয়নি। এতে টাঙ্গুয়ার হাওরের তাহিরপুর অংশের ১২০ হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির।
আর কৃষকদের আশংকা, এভাবে নদীর পানি বাড়তে থাকলে যেকোন সময় হাওর পানির নিচে তলিয়ে হাওরবাসির উপর দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরটিতে ২৪ হাজার ৭শ ৩একর জলাভূমি থাকলেও হাওরের কান্দাগুলোতে প্রায় ৩হাজার একর জমিতে হাওর পাড়ের জয়পুর, গোলাবাড়ি, মন্দিয়াতা, রংচি, রুপনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বোরো চাষাবাদ করে থাকেন। কৃষকদের দাবি ছিল, টাঙ্গুয়া হাওরের ৩টি বাঁধ দিয়ে পানি বৃদ্ধি পেলে হাওরে প্রথম ধাক্কায় যেন পানি না ঢুকে। এই দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ এ তিনটি বাঁধে আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। অবশ্য কৃষকরা গত দুই যুগ ধরে এই হাওরটিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
কৃষকরা বলেন, আজ সকালে নজরখালি বাঁধটি ভেঙ্গে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এখানে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ৩হাজার একর। এই ৩হাজার একর জমিতে তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কৃষকরা বোরো ফসল করে থাকেন। রবিবার রাত থেকে গোলাবাড়ি ও জয়পুর গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি মেরামতের কাজে ছিল। এছাড়া শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ধর্মপাশার রংচি, রুপপনগরসহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক লোকজন নজরখালিসহ আরো দুইটি বাঁধরক্ষার জন্য কাজ করছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গুয়ার হাওরের সকল আপরবাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকছে। আজ সকালে নজরখালি বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। হাওরের অন্য বাধঁগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা হবে।
এ এইচ/বি এন-০৬