নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৭, ২০২২
০৩:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২২
০৩:৪৫ অপরাহ্ন
সপ্তাহজুড়ে টানা তাপদাহের পর নগরবাসীর কাছে প্রত্যাশিত ছিল এক পশলা বৃষ্টি। গতকাল শনিবার রাতে দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি খানিকটা স্বস্তির পরশও বুলিয়ে দিয়েছিল নগরজুড়ে। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বস্তির বৃষ্টি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রাত ৯টার দিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কপথ পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে অনেক বাসা-বাড়িতেও। পরে মধ্যরাত থেকে পানি কমতে শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের জিন্দাবাজার, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, লোহারপাড়া, বড়বাজার, লামাবাজার, মদিনা মার্কেট, চারাদিঘিরপাড়, সওদাগরটুলা, সোবহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, শাপলাবাগ, তালতলা, সুবিদবাজার, ঘাসিটুলা, শামীমাবাদ, জল্লারপাড়, ভাতালিয়া, কানিশাইল, মজুমদারপাড়া, মেন্দিবাগ, দরগামহল্লা, লালদিঘিরপার, কুয়ারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বাসাবাড়িতে বৃষ্টির জমে থাকা পানি ঢুকে পড়লে মধ্যরাতে বিপাকে পড়েন স্থানীয়রা। এসময় সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় বিঘ্নিত হয় যান চলাচলও।
নগরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, রাতে আকস্মিকভাবে ঘরে পানি ঢুকে গেলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। ঘরের বিছানাপত্রসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
ড্রেনের পানি নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করে এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়েন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আযহার দিন থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচন্ড তাপদাহে দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জনজীবন। গত বৃহস্পতিবার সিলেটে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এ তাপমাত্রা ছিল জুলাই মাসের হিসেবে ১৯৫৬ সালের পর সর্বোচ্চ।
আরএম-০১