সিলেটে দিনে অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ২৫, ২০২২
১২:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২২
১২:৩২ পূর্বাহ্ন



সিলেটে দিনে অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকবে না

লোডশেডিংয়ের নতুন শিডিউল প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, সিলেট-২। নতুন সূচি অনুযায়ী দিনে অর্ধেকের বেশি সময় লোডশেডিং থাকবে। রাত ৮টার পর লোডশেডিং কমবে।

রবিবার (২৪ জুলাই) নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২।

এর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেকের চাইতেও কম। আজ রবিবার চাহিদার তুলনায় ৪০ শতাংশ সরবরাহ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন গড়ে অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় কখনও কখনও শিডিউল মানা সম্ভব হয় না। তবে, রাতে শপিংমল বন্ধ হওয়ার পর লোড কমে। তখন সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হয়।

এদিকে, মহানগরীতে বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি থাকলেও গ্রামাঞ্চলে অবস্থা আরও ভয়াবহ। জেলার অনেক জায়গায় দিনে ও রাতের ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে মোটের উপর ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। ফলে অসহনীয় ভোগান্তিতে রয়েছেন লোকজন।

রবিবার বিউবো, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর শিডিউলে দেখা যায়, তাদের আওতায়ভুক্ত এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন শিডিউল অনুযায়ী মহানগরীর বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট, সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া, কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিধীরপাড়, ঝরনারপাড়, কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোওয়াগাঁও, শাপলাবাগ, মেন্দিবাগ, হকার্স মাকেট, কালীঘাট, আমজাদ আলী রোড, মহাজপট্রি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক-এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি, সাদাটিকর, রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরীপাড়া, আগপাড়া, কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড়, চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, বঙ্গবীর,  পৌরমার্কেট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, তেররতন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, বঙ্গবীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া, ঝেরঝেরিপাড়া, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক এলাকাগুলো ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়বে।

বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই-আরেফিন বলেন, ‘চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ লোড পাচ্ছি। আমরা সম্ভাব্য একটি শিডিউল দিয়েছি। এটাই চূড়ান্ত নয়। বেশি লোড পেলে লোডশেডিং কম হবে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেট মহানগরীকে ভাগ করা ৫টি ডিভিশনে রবিবার বিকাল ৪টার দিকে চাহিদা ছিলো ২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু ওই সময় আমরা সরবরাহ পেয়েছি অর্ধেকের চেয়েও কম। বতর্মানে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুত দিয়ে গ্রাহক সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।

এসএইচ/০৩