হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
জুলাই ২৮, ২০২২
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২২
০৯:৪৩ অপরাহ্ন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত বুলবুল আহমেদকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ছুরিকাঘাত করেছিল ছিনতাইকারীরা। এতে বুলবুল রক্তাক্ত হলে তারা পালিয়ে যায়। ছিনতাইয়ে তিন জনের অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা ২টায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএসপি) জালালাবাদ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন এসএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তদন্তে আমরা যতটুকু জেনেছি এটি পরিপূর্ণ ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা।’
ঘটনাস্থলে পূর্ব থেকেই গাজীকালু টিলায় ছিনতাইকারীরা অবস্থান করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টা থেকে টিলা এলাকায় ৪ জন অবস্থান করছিল। সাড়ে চারটার দিকে ২ জন চলে যায়। বাকী ২ জন টিলার উপর ছিল। সন্ধ্যার পর কামরুল তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।‘
বুলবুল ও তার বান্ধবী গাজীকালি টিলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের একাকী পেয়ে মোবাইল এবং টাকা পয়সা দাবি করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় বুলবুলের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বুলবুলের শরীরের ধস্তাধস্তির বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে। এটা ছিল নিছক একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা।’
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানাধীন টিলাগাঁও গ্রামের মো. গোলাব আহমদের ছেলে কামরুল আহমদ (২৯), একই গ্রামের মৃত তছির আলীর ছেলে মা. হাসান (১৯) এবং আনিছ আলীর ছেলে মো. আবুল হোসেন (১৯)।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে গাজীকালু টিলা এলাকায় বুলবুল ছুরিকাহত হন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত পৌনে আটটার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাতেই সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুলবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার নন্দীপাড়া গ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন। বুলবুলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত সোমবার রাত থেকে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
এএফ/০৩