স্ত্রী ও শাশুড়ির গলা কেটে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক


আগস্ট ২০, ২০২২
০২:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২০, ২০২২
০২:৫০ পূর্বাহ্ন



স্ত্রী ও শাশুড়ির গলা কেটে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

সিলেট নগরের বাদামবাগিচা এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার এক পর্যায়ে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন শাহজাহান (৩৫) নামের এক যুবক। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদামবাগিচার ২ নম্বর সড়কের ২৩/২ নম্বর বাসায় নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে, কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেটা জানা যায়নি।
ঘটনার হোতা শাহজাহান বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই বাজারের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, চলতি মাসের ১ তারিখ বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আহমদের (৩০) স্ত্রী সুলতানা বেগম ফারজানা ও শাশুড়ি রোকসানা বেগম (৫১) বাসাটি ভাড়া নেন। ওই বাসায় শাহজাহান ও সুলতানা দম্পতির দুই দুই সন্তান তানহা (৮) ও মাহবুবুল আলমকে (৬) মায়ের সঙ্গে থাকত। মাঝেমধ্যে স্বামী শাহজাহান আসতেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শাহজাহান বাসায় এলে এক পর্যায়ে স্ত্রী ফারজানার গলায় ছুরি ধরেন। তখন শাশুড়ি এগিয়ে এলে তারও গলায় ছুরি লাগান তিনি। দুইজন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এক পর্যায়ে নিজের গলায় ছুরি চালান যুবক। শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও বিমানবন্দর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে কাউন্সিলর শামীম ঘটনাস্থলে যান এবং আহত স্ত্রী ও শাশুড়িকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন আর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহজাহানকে উদ্ধার করে ওসমানীতে প্রেরণ করে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং এ ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছি। তবে, কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে এখনও জানা যায়নি। আমরা তা অনুসন্ধান করছি।’