ঢাকার সমাবেশে বিএনপির ১০ দফা দাবি

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১০, ২০২২
০৭:৫৭ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০২২
০৭:৫৭ অপরাহ্ন



ঢাকার সমাবেশে বিএনপির ১০ দফা দাবি
ফের ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ।

খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারে পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে নতুন করে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

কর্মসূচির মধ্যে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ সকল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশের বিভাগ ও জেলায় গণবিক্ষোভ করবে দলটি। আর ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে গণমিছিল করা হবে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে এসব দাবি উত্থাপন করেন সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির জেষ্ঠ্য সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে এবং নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা, গ্রেপ্তার পাকিস্তান আমলেও হয়নি। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের ৪৫০ নেতাকর্মীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভয়ে ভিত। তারা জনগণকে ভয় পাচ্ছে। এই ভয়ের কারণে তারা আমাদের সমাবেশ করতে দেয় না। যারা ভোট ও ভাতের অধিকার নিয়ে কথা বলে সরকার তাদের ভয় পায়। আমাদের সব সমাবেশেই আওয়ামী লীগ বাধার সৃষ্টি করেছে। অথচ সমাবেশ আমাদের সাংবাধিনক ও মৌলিক অধিকার।

তিনি আরও বলেন, জনগণ সরকারের রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। জনগণ আর প্রতারিত হতে রাজি নয়। তারা রায় দিয়েছে- দিনের ভোট রাতে করে, ভোট ডাকাতি করে আপনারা সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। আন্তর্জাতিকভাবে আপনারা ধরা খেয়ে গেছেন। গত ১৪ বছর গণতন্ত্র হরণ করে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে গেছে। লুটপাট, টাকা পাচার ও ব্যাংক লুটের কারণে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়েছে। এই লুটকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের সিন্ডিকেট বাহিনী। সরকার বিচার ব্যবস্থাতে দলীয়করণ করেছে। নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা থাকলে ফরমাইসি রায়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দেয়া সম্ভব হতো না। বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। সরকার টিকে থাকার জন্য আইনশৃংখলাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের উপর বর্বরোচিত আরচণ করতে বাধ্য করছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সমাবেশ বার্তা দিচ্ছে, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে তাদের দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক করা সম্ভব না। এই সরকারকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অনতিবিলম্বে এই সরকারের বিদায় চায় জনগণ। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা যেহেতু পদত্যাগ করবে না তাই আমরা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করছি।

বিএনপির দাবিগুলো হলো-

১. বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন, গণতন্ত্র হরণকারী, লুটেরা ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮-খ, গ ও ঘ’-এর আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।

৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করা, স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালা-কানুন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্থি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বেলা ১০টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।

সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।

সমাবেশে স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. ফরহাদ আলম ডোনার।

সংসদ সদস্যদের মধ্যে মধ্যে বক্তব্য দেন বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ আজাদ, ডা. আসাদুজ্জামান রুকন, আফরোজা আব্বাস, মীর সরফত আলী সফু, শিরিন সুলতানা, বেনজির আহমদ টিটো, কাজী আবুর বাশার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, এসএম জিলানী, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আব্দুল মোনায়েন মুন্না, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোজাম্মেল হক, এসএম ওবায়দুল হক নাসির, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসিম।

আরও বক্তব্য দেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াদুল হান্নান, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সদস্য শাহজাহান খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শিমুল, দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, তানভীর আহমেদ রুবেল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শিপু, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাবেক নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেতাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ায় ৪০ মিনিট আগে সমাবেশ শুরু হয়। বেলা ১২টার সময় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সমাবেশস্থল নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে নির্ধারিত দিনের আগের দিন রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের অনুমতি পায় বিএনপি।

এর আগেই সমাবেশস্থলে দলে দলে সমবেত হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্ব) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ খেলার মাঠটির প্রায় অর্ধেক ভরে যায়। এর ঘণ্টাখানেক পর সমাবেশের মাঠে শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণের কাজ।

১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির ১০ সাংগঠনিক বিভাগের গণসমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়। যা শেষ হল ঢাকা বিভাগীয় এই সমাবেশের মধ্যদিয়ে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি ও চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে, দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে ঢাকার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে সমাবেশে প্রধান অতিথি করা হয়।

কুমিল্লাসহ গেল নয়টি সমাবেশেই প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল।

গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে সমাবেশে থাকতে পারেননি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাস, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামসহ আরও অনেকে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর দলের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাধারণ কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১২ অক্টোবর থেকে গণপরিবহনে ধর্মঘট, গ্রেপ্তার, হুমকি-ধামকির মধ্যেই ইতোমধ্যে সবগুলো বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন করেছে বিএনপি।

১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা ও ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী গণসমাবেশ হয়।

বিশেষ করে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা অচল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলা এবং সমাবেশে যোগদানের বক্তব্যে নড়েচড়ে বসে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাসব্যাপী বাগ্‌যুদ্ধ, 'খেলা হবে' বলে হুমকি-পাল্টা হুমকিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। এতে জনমনে দেখা দেয় ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। শঙ্কা কিছুটা সত্যিও হয়েছে।

সমাবেশের দু'দিন আগেই নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত। দিনটিতে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে নিজ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন তারা।

এ বিরূপ পরিস্থিতিতে ঢাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিএনপির এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। সমাবেশকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ডিএমপির ২৫ হাজারের বেশি সদস্য। এছাড়া মাঠে আছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্য। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

গত কয়েকদিনের তুলনায় সমাবেশের এক দিন আগে শুক্রবার তল্লাশি তৎপরতা ছিল অনেক বেশি। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চঘাটে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিল র‌্যাব-পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় আছে রাজধানীর অলিগলিসহ আবাসিক হোটেলগুলো।
এনএম/০৪