হাওরে এক সঙ্গে ধান কাটলেন তিন মন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১৯, ২০২৩
০৪:১০ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২৩
০৫:৩১ অপরাহ্ন



হাওরে এক সঙ্গে ধান কাটলেন তিন মন্ত্রী
এবার হাওরের বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কা নেই


সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কেটে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করলেন তিন মন্ত্রী।

আজ বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে ধান কাটা উৎসবে যোগ দেন তারা। 

তিনমন্ত্রী হলেন—কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। 

এসময় বন্যার পূর্বাভাসে হাওরের বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করে বলেন, অন্য সময় হাওরের ধান নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হতো। আগাম বন্যায় ফসল তলিয়ি যাওয়া নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকতেন কৃষকরা। এবার হাওরের বোরো ফসল নিয়ে শঙ্কা নেই। আল্লাহ সহায় থাকলে কোনো ক্ষতি ছাড়া কৃষকরা তাদের  ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

ধানের দাম প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম যেমন আছে তেমন থাকবে। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাক সেটা আমরা চাই। আশা করি কৃষক তার ধানের উপযুক্ত মূল্য পাবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিবছর হাওরে আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। তবে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে হাওরের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। 

মন্ত্রী আরও বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয়, সে বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সে বছর খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরের ধান কাটছে। বন্যার আগেই ধান কাটা শেষ হবে। 

চলতি সপ্তাহে আগাম বন্যার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে পারবো না। এটা উচিৎ নয়। তবে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন সময় সময় কমি আনতে হবে। এতে অকাল বন্যা থেকে বাঁচা সম্ভব।

এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না। হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবে না। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এ সময় পানি উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহসান শাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ধানকাটা উৎসব উপলক্ষে কৃষক ও সর্বসাধারণের সাথে এক আলোচনা সভায় অংশ্রহন করেন কৃষিমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা।

উল্লেখ্য এবার সুনামগঞ্জের শতাধিক হাওরে প্রায় দুই লাখ ২৩ হেক্টর জমির বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধানের দিক দিয়ে ১৩ লাখ মেট্টিকটন নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।


এসই/ ০৪