যুবদল নেতার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ১

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১০, ২০২৩
০৯:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১০, ২০২৩
০৯:৪৬ অপরাহ্ন



যুবদল নেতার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ১


সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সফিক খানের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া  নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সফিক ইউনিয়নের প্রয়াগমহল গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে।

ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকা’র অভিযোগে উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সামছুল ইসলাম ও যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম আলী স্বাক্ষরিক এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সফিক খানকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করেন।  

এ ঘটনার পর ব্ল্যাকমেইলিং করে ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ এনে গতকাল রাতে বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ করেন সফিক খান। এতে সিরাজুল ইসলামসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর অভিযুক্তরা হলেন, দূর্লভপুর গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে রমজান আলী (২৫) ও মঙ্গলগীরি গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে লায়েক মিয়া (২০)। এছাড়া মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা রয়েছেন।

এরপর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মঙ্গলগীরি গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহারে সফিক খান উল্লেখ করেন, তার ব্যক্তিগত স্মার্টফোনে স্ত্রীর সাথে তার দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি স্থানীয় প্রীতিগঞ্জ বাজারস্থ তার দোকান থেকে ব্যক্তিগত ওই মোবাইল ফোনটি চুরি হয়। পরবর্তীরে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি তিনি দোকানেই পেয়ে যান। তখন তিনি দেখতে পান- তার মোবাইলে সংরক্ষিত স্ত্রীর সাথের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও নেই।

এজহারে আরো বলা হয়, ঘটনার পর গত ৪ জুন গভীর রাতে সফিক খানকে মুঠোফোনে কল করে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম জানায়, তার (সিরাজুল) কাছে সফিকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে এবং এ বিষয়ে পরদিন তার (সিরাজুল) সাথে সরাসরি দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেন। পরদিন (৫ জুন) দুপুরে প্রীতিগঞ্জ বাজারে সিরাজুল ইসলামের সাথে সরাসরি দেখা করেন সফিক খান। তখন সিরাজুল ইসলামের সাথে ছিলেন অভিযুক্ত রমজান ও লায়েক। এসময় অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সফিকের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সিরাজুল ইসলাম। এতে অপারগতা প্রকাশ করেন সফিক খান। পরবর্তীতে গত ৬ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সফিক খানের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেন অভিযুক্তরা। এতে সামাজিকভাবে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেসন্তানের জনক সফিক খানের মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দাবী তার।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।


এএফ/০৬