নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৩, ২০২৩
০৪:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৪, ২০২৩
০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশন মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে গত বুধবার নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৯ জন। যা মোট ভোটের ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান।আর সবচেয়ে কম ১ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৫২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। তৃতীয় হয়ে চমক দেখানো মো. শাহ হাজান মিয়া পেয়েছেন ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। নির্বাচন বয়কট করেও তার বাকশে জমা পড়েছে ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৫ দশমিক ৬১ ভোট। পঞ্চম হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হানিফ কুটু পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯৬ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ষষ্ট হয়েছেন জাকের পার্টির জহিরুল আলম। তিনি ৩ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম হওয়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা পান ২ হাজার ৯৫৯ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। সবচেয়ে কম ২ হাজার ৬৪৮ ভোট পান বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন। যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ভোটারদের যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম তা ফলাফল একটু গভীরভাবে চোখ রাখলেই বুঝা যায়। ভোট পড়েছে ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ মোট ভোটারের অর্ধেকও ভোট কেন্দ্রে আসেননি। যিনি বিজয়ী হয়েছেন তিনি মোট ভোটের মাত্র ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। এসব প্রমাণ করে ভোটের উপর মানুষের আস্থা কম।