ওসমানী হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে কোলাহলেও যেন স্তব্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ২০, ২০২৩
০৫:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২০, ২০২৩
০৫:১৮ অপরাহ্ন



ওসমানী হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে কোলাহলেও যেন স্তব্ধতা

নিহতের স্বজনের আহাজারি।

মাথায় টুপি-পড়নে পাঞ্জাবি। তার ঠিক পাশেই আরেকজন একই পোশাকধারী। দ্বিতীয়জনকে জড়িয়ে কাঁদছিলে। তার বিলাপ যে স্বজনহারার। ফিরে পাবেন না জেনেও যেন ফিরে পাওয়ার আকুতি তার। তাতে কোলাহলের মাঝেও যেন বিরাজ করছে স্তব্ধতা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে কাঁদছিলেন এক স্বজন। সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তার এক কাছের মানুষ।

পাশে থাকা অন্য এক স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নিহতের নাম আমির উদ্দিন। কোম্পানীগঞ্জের পারোয়া-আনোয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকতা করেন তিনি। সাদামাটা জীবন-যাপন আর সদালাপী হিসেবে তাঁর পরিচয় ছিল এলাকাজুড়ে। 

তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ পরিবারও। এলাকার মানুষেরা শোকাহত।

কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। আমিনের পুরো নাম কাজী মাওলানা আমির উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৭৪৬২) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খাগাইল এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটির সামনের ডানপাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়িই রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ও নারীসহ ৪ যাত্রী নিহত হন। 

গুরুতর আহত এক অটোরিকশাযাত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ১০টার দিকে তিনিও মারা যান।

এ দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসের কোনো যাত্রীকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

আরস-০৪