সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৯, ২০২৩
১২:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২৩
১২:৩২ পূর্বাহ্ন



সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার আজ শুক্রবারের ঘোষিত ফলাফলে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার এই বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৬। গত বছর ছিল ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৫৬৫। গতবারের চেয়ে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। গত বছর ২৭টি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩টিতে।

আজ বেলা ১১টায় শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. মঈনুল ইসলাম, সিস্টেম অ্যানালিস্ট সরকার মো. আতিকুর রহমান, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবা বাছিত, মো. শরীফ আহমদ ও সহকারী উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দীনেশ রঞ্জন দাশ উপস্থিত ছিলেন।

অরুন চন্দ্র পাল বলেন, এবারের পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৮৩ হাজার ৩০৬ জন। মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা পাসের হারে পিছিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া এবার গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কম পাস করেছে। এতে ফলাফলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


সিলেট এগিয়ে, পিছিয়ে মৌলভীবাজার

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে সিলেট জেলা। এখানে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৮। এ জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১৯ শিক্ষার্থী। এরপরই সুনামগঞ্জ জেলা ভালো ফল করেছে। এ জেলায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৯। তবে চার জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জে জিপিএ-৫ এসেছে সবচেয়ে কম। এ জেলায় ৬৫৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হারের দিক দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা তৃতীয় স্থানে। এ জেলায় ৭৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। হবিগঞ্জ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭৯ জন শিক্ষার্থী, যা ফলাফল বিবেচনায় চার জেলার মধ্যে তৃতীয়। অন্যদিকে পাসের হারে পিছিয়ে আছে মৌলীভাবাজার জেলা। এখানে পাস করেছে ৭৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। তবে সিলেটের পরই মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেলাটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৯৮ জন।


ভালো ফল মেয়েদের

ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। মেয়েদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৮৮। আর ছেলেদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৮৮। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৮২ জন মেয়ে এবং ২ হাজার ৪৭০ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিভাগওয়ারি জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ৭৮৭ জন মেয়ে এবং ২ হাজার ৪১৭ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। মানবিক বিভাগে ১৩১ জন মেয়ে ও ২৮ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন মেয়ে ও ২৫ জন ছেলে।


বিজ্ঞানে ভালো ফল

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৫। সবার নিচে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগের পাস করেছে ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।


গণিতে অকৃতকার্যের হার বেশি

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে অকৃতকার্য হওয়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থী গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। ৯৯ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী বিষয়টিতে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮৭ হাজার ৩৬৩ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক শূন্য ৭। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে অকৃতকার্যের হার বেশি। ইংরেজি বিষয়ে পাসের হার ৯১ দশমিক ৭২।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল বলেন, প্রশ্নপত্র লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এবার সিলেট বোর্ডের গণিতের প্রশ্নপত্র অপেক্ষাকৃত কঠিন হয়েছে। তিনি গণিতের শিক্ষক হিসেবে প্রশ্ন দেখে বিষয়টি অনুধাবন করেছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের উপকমিটিতে তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন। গত বছর গণিতে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৮৮। এবার সেটি কমে ৮৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে নেমেছে।


এএফ/০৯