বিয়ানীবাজারে কলেজের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


আগস্ট ০৩, ২০২৩
০১:৫০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৩, ২০২৩
০১:৫০ পূর্বাহ্ন



বিয়ানীবাজারে কলেজের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ


সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগরে সৈয়দ নবীব আলী কলেজের কমিটি নিয়ে দ্বন্ধের জেরে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে কলেজের শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়া নিয়ে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হলেও পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সংঘর্ষে ৪জন শিক্ষার্থী আহত হলেও বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে মোট ১২জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সৈয়দ নবীব আলী কলেজের শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়া নিয়ে দুই ছাত্রের কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এর আগে গত কয়েকদিন থেকে সৈয়দ নবীব আলী কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আহবাবুর রহমান খান শিশু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জায়গীরদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সভাপতি পদ লাভে আগ্রহী। এদের মধ্যে আহবাবুর রহমান খান শিশুর নাম সভাপতি পদের জন্য এমপির পছন্দের তালিকায় থাকলেও কলেজের অধ্যক্ষ অপর তিনটি নাম যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন। বুধবারের ছাত্র সংঘর্ষের পর থেকে সভাপতি পদের জন্য আগ্রহীরা পৃথক দু’টি পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা নিজেদের প্রেষ্টিজ ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

আলীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জায়গীরদার জানান, ছাত্রদের সৃষ্ট ঘটনাটি ভিন্নরূপ দিয়ে সভাপতি পদে আগ্রহী এক প্রার্থী সুবিধা নিতে চাইছেন। এখানে কাউকে সুবিধা নিতে দেওয়া হবে না।

আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান আহবাবুর রহমান খান শিশু বলেন, কিছু বহিরাগত ছাত্র সংঘর্ষে জড়ায়। আমি আহতদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোওয়ার হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন পূর্বে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় কলেজের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পিএ-০১/এএফ-১৪