আরিফ হত্যার ঘটনায় আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ২১, ২০২৩
০২:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০২৩
১১:৪৭ অপরাহ্ন



আরিফ হত্যার ঘটনায় আটক ২


সিলেটে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায়ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদ (১৯) ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন বাচ্চু মিয়ার পুত্র রনি(২১) ও কামাল মিয়ার পুত্র মামুন মজুমদার (২৮)। তারা দুজনেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী।

আটকের বিষয়টি সিলেট মিরর-কে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।’

গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচর টিবি গেট এলাকায় আরিফ ছুরিকাহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখুন-


আরিফ আহমদ বালুচর এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তবে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।


আরও পড়ুন

সিলেটে ‘দলীয় কর্মীদের’ ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী খুন


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১২টার দিকে বালুচর টিবি গেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কয়েক যুবক আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় আরিফের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আরিফ খুনের খবর পেয়ে সোমবার মধ্যরাতে হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলামসহ শতাধিক নেতা–কর্মী হাসপাতাল এলাকায় ছুটে আসেন।

নাজমুল ইসলাম গতকাল রাতে বলেন, একটি পক্ষ টিলাগড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। এর জেরে চার দিন আগে আরিফকে মারধর করা হয়েছিল। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে আরিফ। ওই হামলার ঘটনায় আরিফের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এর জেরেই সোমবার রাতে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে।

নাজমুল ইসলামের অভিযোগ, আরিফকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষের কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন। এর আগেও একই পক্ষের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছিলেন।

এ ব্যাপারে আজ দুপুরে  সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নাজমুল ইসলাম বলেন, টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় কোনো ছাত্রলীগ কর্মী তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করুক, সেটি চান না সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ। তিনি ওই এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে চান। এ জন্য বারবার নাজমুলের পক্ষের নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। আরিফ খুনের ঘটনায় হামলাকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দেওয়া হচ্ছে।




এএফ/০৫