পাঁচ দিনের বিরতি শেষে দেড় দিনের অবরোধ শুরু

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
১২:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
০১:৪৮ অপরাহ্ন



পাঁচ দিনের বিরতি শেষে দেড় দিনের অবরোধ শুরু

কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।-ফাইল ছবি


চার দিন বিরতির পর বিএনপির ডাকা দেড় দিনের অবরোধ শুরু হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ চলবে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। 

দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ফের এই অবরোধের ডাক দিল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের প্রায় ৪৩ দিন পর ঢাকাসহ সারা দেশের জেলাস্তরে মানববন্ধনের মাধ্যমে রাজপথে ফিরেই গত রোববার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী পক্ষ।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টায় দশম দফার অবরোধ শেষ হয়। সেদিন পর্যন্ত ২১ দিন অবরোধ ও চার দিন হরতালও করেছে বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ সফল করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এক দফার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। মাফিয়া সরকারের পতন ঘটানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্থান থেকে গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা রাস্তায় নেমে আসবে।’ তিনি অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই কর্মসূচি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের, এই কর্মসূচি মানুষের কথা বলার, এই কর্মসূচি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং এই কর্মসূচি প্রতিটি ব্যক্তি ও মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য।’

দেশের কারাগারগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মৃত্যুঝুঁকিতে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘কেউ যাতে টুঁ শব্দও না করতে পারে, সেজন্য কারাগারের ভেতর-বাইরে চলছে বিরোধী দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক আচরণ। কারাবন্দিদের নির্যাতন করা হচ্ছে অবর্ণনীয় পৈশাচিক কায়দায়। বন্দিদের চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিকে হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে কারা হাসপাতালে ফেলে রাখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কারাগারে দম বন্ধ করা সেলে দিনরাত লকআপে রেখে অতি নিম্নমানের খাবার দিয়ে অসুস্থ বানিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়ানোর জন্য গল্প সাজিয়ে মিথ্যাচার করছে।’

দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিধারণক্ষমতা ৪৩ হাজারের কম হলেও গণমাধ্যমের হিসাবে সেখানে প্রায় ৮৮ হাজার বন্দি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদার সরকার তাদের দখলদারিত্ব ধরে রাখার জন্য পুরো দেশকে নরকপুরিতে পরিণত করেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। দুর্বিনীত দুঃশাসনের করাল গ্রাসে দেশবাসী অজানা আশঙ্কা-আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।’


এএফ/০৩