নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
০৬:২১ অপরাহ্ন
স্মার্ট হেলথ সিস্টেমের মাধ্যমে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীরা ৩১ ধরণের সেবা পাবেন জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, ‘স্মার্ট হেলথ মেনেজম্যান্ট সফটওয়্যারের আওতায় আমরা পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মেডিসিন এবং ডায়গনসিস রিপোর্ট এগুলোর জন্য স্মার্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ৩১ ধরণের মডিউল তৈরি করা হয়েছে। আমরা এই হাসপাতালকে এটি উপহার দিচ্ছি।’
আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় ‘হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় তিনি বলেন, ‘সিলেটে আজ যে স্মার্ট হেলথ সিস্টেমটার পাইলট প্রকল্প আমরা চালু করছি সেটির উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের অন্যতম পেপারলেস স্মার্ট সরকারের সেবা জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়া। আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় পরামর্শে আমরা সারা বাংলাদেশে স্মার্ট হেলথ সার্ভিসটা প্রভাইড করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এটি চালু হওয়ায় সিলেটে সকল রোগীদের একটা হেলথ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৩১ ধরণের সেবা আমরা নিশ্চিত করব। যেটা হবে পেপারলেস এবং অনেক খরচ ও সময় বাঁচাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্মার্ট হেলথ মেনেজম্যান্ট সফটওয়্যারের আওতায় পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মেডিসিন এবং ডায়গনসিস রিপোর্ট সবগুলোর জন্য আমরা স্মার্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ৩১ ধরণের মডিউল তৈরি করেছি। যেটি আইসিটি বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা এই হাসপাতালকে এটি উপহার দিচ্ছি। যার ফলে এখানে প্রতিদিন ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার আউটডোর রোগী এবং আড়াই হাজারের মতো ইনডোর রোগী আছে তাদের আমরা একটা রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের আওতায় আনব। যাতে করে তাদের হিস্ট্রি থাকবে এবং তারা বাড়িতে বসেই সময় সাশ্রয় করে, অর্থ সাশ্রয় করে তারা রেজিস্ট্রেশন করে আসতে পারবে।’
সিলেটের প্রবাসীদের প্রশংসা করে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের প্রবাসীরা নানাভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। তবে প্রবাসীদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও বেশী বিনিয়োগ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশার কথা, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন একজন মানুষ। তার হাত ধরে সিলেট একটি স্মার্ট নগর হিসাবে গড়ে উঠবে এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
এসময় প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সিলেটের প্রবাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক মধুসূদন চন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো.হারুন-অর-রশীদ, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান ও ইজেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান।
এএফ/১২