সহিংসতা ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামি ৭৬ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধ!

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
০৯:২২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
০৭:২০ অপরাহ্ন



সহিংসতা ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামি ৭৬ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধ!


সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ফুল মিয়া নামে ৭৬ বছর বয়সী অসুস্থ এক বৃদ্ধকে সহিংসতা ও লুটপাট মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। এতে করে ঘরবন্দি থেকে চিকিৎসা নেওয়া এই বৃদ্ধ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ঘটনা উপজেলা জুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

শফিকুল ইসলামের মামলা সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়, গত সোমবার রাত ৭টায় উপজেলার টুকের বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন হুসেন মিয়ার দোকানের পিছনের রাস্তায় দিয়ে শফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আলমগীর, রুবেল ও সালমান ব্যবসায়ের টাকা নিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে তাদের পথরোধ করে ইসলামপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া ও তার ছেলে শাহ আলী, আশিক, হৃদয়, মৃত রতন মিয়ার ছেলে মোহন, রিয়াজ, মাসুক মিয়ার ছেলে আশিকসহ অজ্ঞাত ৯-১০ জনের একটি দল। এসময় তারা আলমগীর, রুবেল ও সালমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আলমগীরের কাঁধে থাকা ব্যাগের ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলাম। 

এ ঘটনার একদিন পর গত ‍বুধবার অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতেই পাল্টা মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি করেন আসামি ফরিদ মিয়ার স্ত্রী মোছা. মিনারা বেগম। মামলায় বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

নিজেদের বাঁচাতে পাল্টা এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে দাবি করে বৃদ্ধা ফুল মিয়া বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। আমার বয়স ৭৭ বছর। আমি কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছি। মামলার এজাহারে আমাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, ‘মিনারা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধ ফুল মিয়াসহ ১১ জনের নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য প্রমাণ ছাড়া নিরপরাধ কাউকে মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’


কেএ-০১/এএফ-০৩