কফি খেতে গিয়ে লাশ হলেন মৌলভীবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০১, ২০২৪
০২:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০১, ২০২৪
০২:২৪ অপরাহ্ন



কফি খেতে গিয়ে লাশ হলেন মৌলভীবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড


রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৬) মারা গেছেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহির রাজিউন

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তার মেম্বার আইডি-৭১২৮।

আজ শুক্রবার (১ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, নিহত শামীমের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। গতকাল বৃহস্পতিবার আতাউর রহমান শামীম বেইলি রোডে অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন।

ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।


এএফ/০৫