সিলেটে সকাল থেকে টহলে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ২৮, ২০২০
১১:৩৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৮, ২০২০
১১:৪০ পূর্বাহ্ন



সিলেটে সকাল থেকে টহলে সেনাবাহিনী
বিভিন্নস্থানে জীবানুনাশক ষ্প্রে করছে সেনাবাহিনী

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সিলেটে সকাল থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে সিলেটের ১৩ উপজেলা ও সিলেট নগরে টহলে নেমেছেন সেনা সদস্যরা।

 

সরেজমিন শনিবার সকাল থেকে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। টহলরত সেনা সদস্যরা হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হতে এবং দূরত্ব নিশ্চিত করে চলাচল করার আহ্ববান জানাতে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নগরের বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনীকে জীবানুনাশক ষ্প্রে করতে দেখা যায়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নগরের বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনীকে জীবানুনাশক ষ্প্রে করতে দেখা যায়। 

 

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নগরের বিভিন্নস্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে। নগরের দক্ষিণ সুরমা এলাকা, রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, সিলেট তামাবিল সড়কের খাদিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব বাহন দিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।

 

এছাড়াও বিভিন্নস্থানে লোকজনের হাত স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে দিয়েছেন সেনাসদস্যরা। একই সঙ্গে অভিযানের সময় নগরের বেশ কয়েকটি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও স্ন্যাকসের দোকান বন্ধ করে দেন তারা। যারা অযথা ঘোরাঘুরি করছেন তাদেরও সতর্ক করে দেন তারা। 

 

এর আগে গত ২৪ মার্চ 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার'-এর আওতায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতায় সারাদেশে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তরা জানান, সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ১৩ টি টিম ও সিলেট নগরে ৩ টিম টহল দিচ্ছেন। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি টিমের সঙ্গে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা আর নগরে জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট রয়েছেন সেনা সদস্যদের সঙ্গে।

 

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মেজবাহ উদ্দিন সিলেট মিররকে বলেন, সকাল ৮টা থেকেই সিলেটে সেনাবাহিনীর টহল শুরু হয়েছে । সবাই যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এ বিষয়ে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।

 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. এইচ. এম. মাহফুজুর রহমান সিলেট মিররকে জানান, সেনা সদস্যরা কোনও জায়গায় যাতে ৫-৭ জন জড়ো হতে না পারে সেই বিষয়ে নজর রাখছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।