সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ৩১, ২০২০
০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২০
০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
উদ্যোক্তারা সমাজের বিবেকবান ও মানবিক মানুষ। সামাজিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তারা বরাবরই এগিয়ে আসেন। আর যারা আর্থিকভাবে সহায়তা দেন, তারাও চান না দান করে নাম ফোটাতে, ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে।
এমন মানসিকতার লোকদের নিয়েই করোনাকালে অসহায় মানুষকে সহায়তার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ‘অসহায়ের পাশে আমরা’। সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ১০৫ জন অসহায় শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা দিয়েছে সংগঠনটি।
জানা গেছে, সোমবার প্রথমবারের মতো শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয় সংগঠনটি। প্রথম দিনে ১০৫ জন শ্রমজীবীর প্রত্যেকে পেয়েছেন ৮ কেজি চাল, ১ লিটার সোয়াবিন, ১ কেজি ডাল, আধা কেজি লবন ও ১টি সাবান।
এই সহায়তা কার্যক্রমে অর্থ দিয়ে সহায়তাকারীগণ পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকায় তাদের নাম জানাননি উদ্যোক্তারা। তাদের অনুরোধে কোনো ছবিও তোলা হয়নি দাতাদের। সমাজের শিক্ষক, সুধীজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অসহায়দের তালিকা করে এই সহায়তা দেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বিতরণ প্রক্রিয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানানো হয়, এলাকার শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের তালিকা করা হয়। যে এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, প্রথমে ওই এলাকার একাধিক দোকানির মুঠোফোন ও বিকাশ নম্বর নেওয়া হয়। তারপর যাদের সহায়তা দেওয়া হয়, তাদের একেবারে কাছাকাছি দোকানে সংগঠনের একজন স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত থেকে তালিকা অনুযায়ী এসব পণ্য ক্রয় করেন। এরপর দোকান থেকে সহায়তা গ্রহণকারী ব্যক্তিগণ নিজেরাই নিজেদের জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন। পরে দোকানিকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়। সহায়তা বিতরণের সময় সহায়তা গ্রহণকারীদের কারও কোনো ছবি তোলা হয়নি। সহায়তা কার্যক্রমের ছবি কখনওই প্রকাশ করা হবে না বলে জানান উদ্যোক্তারা।
সংগঠনের অন্যতম উদ্যেক্তা বিটিভি’র সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু জানান, যাদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে তাদের নাম-ঠিকানা তাদের কাছে সংরক্ষণে রয়েছে। একইভাবে যারা খাদ্যসামগ্রী বিতরণে টাকা দিচ্ছেন, তাদের নাম-ঠিকানাও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো।
উদ্যোক্তারা জানান, পুরো জেলায় এই কাযর্ক্রম ছড়িয়ে দিতে চান তারা।