মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ৩১, ২০২০
০৭:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২০
০৮:৫৮ অপরাহ্ন



মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব

 

আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেলো। রোদে পুড়ে যারা ভিড় জমিয়েছেন তারা সবাই স্বল্প আয়ের দিনমজুর। করোনার আশঙ্কায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাদের আয় রোজগার বন্ধ প্রায়। তাই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিমের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের খবরে তারা ভিড় জমিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দিনমজুর মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। তালিকায় যাদের নাম আছে কেবল তারাই কাগজ প্রদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছিলেন। প্রধান ফটকের ভেতরে অবশ্য নির্দিষ্ট দূরত্বে একটি বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়েছিল। সেই দূরত্ব দাঁড়িয়ে সবাই নিজের ডাকের অপেক্ষায় ছিলেন।

তবে যাদের নাম তালিকায় ছিল না, তারা বাইরে দাঁড়িয়ে অনুনয় বিনয় করছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে ভিড়ও যেন বাড়ছিল। ত্রাণের আশায় সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধের কথা ভুলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা অনেকটা মরিয়া। অন্যদিকে পুলিশ সদস্যরা তাঁদেরকে কেবল অনুরোধ করছিলেন, ফটকের সামনে ভিড় না জমাতে। তবু নাছোরবান্দা তারা। একটু ভালো খাদ্যসামগ্রীর আশায় ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন তারা।       

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একান্ত প্রয়োজনে সমাগম হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিম্নবিত্তদের বেশিরভাগের জানা নেই ‘সামাজিক দূরত্ব’ মানে কি! তবে যাদের এই বিষয়ে ধারণা আছে তারাও সেটা মানছেন না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি।      

এর আগে আজ সকালে সিলেটের নগর ভবনের সামনেও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জটলা দেখা গেছে। তবে সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষদের নয়, সিটি করপোশনের কর্মকর্তাদের এই জটলায় দেখা গেছে। ত্রাণ কিভাবে বিতরণ করা যেতে পারে সেই বিষয় নিয়ে তারা পরামর্শ করছিলেন, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে।  

এই বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী সিলেট মিররকে বলেন, আমরা মেয়রের কক্ষে যখন বৈঠক করি তখন সেখানে তিন ফুট দূরত্ব রাখি সবাই। তবে কাজের সময় সেটা অনেকেই ভুলে যান। বাইরে দাঁড়িয়ে দূর থেকে কথা বললে কাজ অনেক সময় অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে নিরুপায় হয়েও কাজ করতে হবে।

 

আরসি/০২